ইয়েমেনে আরব উপদ্বীপ ভিত্তিক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনীর (AQAP) বীর যোদ্ধাদের পরিচালিত হামলার শিকার হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত-সমর্থিত গাদ্দার বাহিনী। এতে এক ডজনেরও বেশি গাদ্দার সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ মার্চ ইয়েমেনের আবয়ান প্রদেশের জাঞ্জিবার শহরে একটি বীরত্বপূর্ণ অপারেশন পরিচালনা করছেন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আনসারুশ শরিয়াহ্’র জানবায মুজাহিদিন। হামলাটি সংযুক্ত আরব আমিরাত-সমর্থিত দক্ষিণ ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের সামরিক বাহিনীর নেতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল লাতিফ আল-সায়িদকে বহনকারী একটি সামরিক কনভয়কে টার্গেট করে চালানো হয়েছে।
গাদ্দার বাহিনীর কনভয়টি ধ্বংস করতে এবং সেনাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে মুজাহিদগণ প্রথমে একটি গাড়ি বোমা দ্বারা কনভয়ে বিস্ফোরণ ঘটান। এতে গাদ্দার মিলিশিয়াদের কয়েকটি গাড়ি ধ্বংস ও সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরও কয়েকটি। এরপর সেখানে অপেক্ষমাণ ২ জন ইনগিমাসী মুজাহিদ বিস্ফোরণের ঘটনায় বেঁচে যাওয়া বাকি গাদ্দার সেনাদের টার্গেট করে হামলা চালাতে শুরু করেন।
হামলায় সংযুক্ত আরব আমিরাত সমর্থিত গাদ্দার বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে আল-কায়েদার সহযোগী সংবাদ মিডিয়া ‘আল-মালাহিম’। সংবাদ সূত্রটিতে বলা হয় যে, বীর মুজাহিদদের উক্ত বীরত্বপূর্ণ অভিযানে গাদ্দার বাহিনীর ১৪ সেনা নিহত হয়েছে। একই সাথে গোলাম এই বাহিনীটির নেতা সাইয়িদ সহ আরও অসংখ্য সৈন্য আহত হয়। যাদের মাঝে ঘটনাস্থলেই ৪ সেনার অবস্থা গুরুতর ছিল বলে জানা যায়।
কুখ্যাত মিলিশিয়া নেতা সাঈদ এই অঞ্চলে হকের ঝান্ডাবাহী আল-কায়েদার বীর মুজাহিদদের বিরুদ্ধে আক্রমণের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্বদের মধ্যে একজন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের গাদ্দার সরকার সাঈদের কুখ্যাত মিলিশিয়া গ্রুপটিকে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে সবধরনের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে কুখ্যাত এই মিলিশিয়া নেতা এর আগেও মুজাহিদদের হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল। তখন সে মুজাহিদদের হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে গেলেও একটি চোখ এবং একটি হাত হারায়।
উল্লেখ্য যে, আল-কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখা আনসারুশ শরিয়াহ্ সম্প্রতি ইয়েমেন, বিশেষ করে ইয়েমেনের দক্ষিণ অংশে নিজেদের কার্যকারিতা এবং প্রভাব বৃদ্ধি করেছে।
আলহামদুলিল্লাহ