জেরুজালেমে পবিত্র মসজিদুল আকসায় ইহুদি আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। গত শুক্রবার জুমার দিনে নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লীদের লক্ষ্য করে ড্রোন দ্বারা হামলা চালায় ইসরাইলি দখলদাররা।
এছাড়াও স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ এপ্রিল) ফজর নামাজের পর মসজিদে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পাথর ছুড়ে মারেন মুসল্লিরা। এ সময় ইহুদি বাহিনীর ছুড়া গুলি আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশত ফিলিস্তিনি।
গত শুক্রবারও আল-আকসা মসজিদের ভেতরেও হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনারা। চলে দফায় দফায় সংঘাত। আহত হন দেড় শতাধিক মুসলিম। আর দখলদার বাহিনী আটক করে নিয়ে যায় চার শতাধিক ফিলিস্তিনি মুসলিমকে।
দখলদার বাহিনীর এসব আক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না ফিলিস্তিনি নারীরাও। আগ্রাসন চালানোর সময় মুসলিম নারীদের শরীরে হাত তুলতে দেখা গেছে সেনাদের। এমনকি আহত মুসলিমদেরকেও আটক করছে বর্বর ইহুদি সেনারা। গুলিতে আহত ফিলিস্তিনিদের আহত দেহ তুলে নিয়ে যেতে দেখা গেছে তাদের।
প্রতিবারই রমজান মাসে বর্বর ইহুদিরা ফিলিস্তিনিদের উপর চালিয়ে আসছে ইতিহাসের বর্বরোচিত নির্যাতন। কবে, কোনদিন শেষ হবে এ নির্যাতন তা কারো জানা নেই। তা সত্বেও এখন পর্যন্ত কেউই এ বিষয়ে বাস্তব কোন পদক্ষেপ নেয়নি। দু’একটা ফাকা বিবৃতি দিয়ে দায় সেরেছেন দালাল আরব শাসকরা।
উল্টো এসব দালাল শাসকদের বিবৃতিতে সাধারণ মুসলিমরা পড়েন দ্বিধাদ্বন্দে। মুসলিমরা ব্যর্থ হন তাদের করনীয় নির্ধারনে।
বিশেষজ্ঞ আলিমরা জানিয়েছেন শতাব্দী জুড়ে বিশ্বব্যাপী মুসলিম নির্যাতনে পশ্চিমা বিশ্ব ও হলুদ মিডিয়া চালিয়েছে সুক্ষ্ম ষড়যন্ত্র। তারা ক্রমাগত কৌশলী প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আল-আকসা কেন্দ্রিক ইহুদি ষড়যন্ত্রে উস্কানি ও ইন্ধন জুগিয়ে গেছে, সাফাই গেয়েছে ইহুদি আগ্রাসনের। যার ফলে তিলে তিলে মুসলিম জাতী ধ্বংস হলেও, সাধারণ মুসলিমরা প্রতিশোধ পরায়ণ হতে উৎসাহ পাননি।
তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে মুসলিম জাতীকে নিজেরা নিজেদের করনীয় নির্ধারনে ভুল করলে নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়বে বলে সতর্ক করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।
তথ্যসূত্র:
1. 57 Palestinians injured in today’s Israeli raid of Jerusalem’s Al-Aqsa Mosque-
– https://tinyurl.com/2p9euvu7