আশ-শাবাবের দুর্দান্ত সব হামলায় ৩৪ কুফ্ফার সেনা হতাহত

আলী হাসনাত

2
1269
আশ-শাবাবের দুর্দান্ত সব হামলায় ৩৪ কুফ্ফার সেনা হতাহত

পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় ক্রুসেডার বুরুন্ডিয়ান ও সোমালি সেনাদের লক্ষ্য করে ৪টি সফল হামলা চালিয়েছেন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। যাতে ১৩ ক্রুসেডার সহ ৩৪ সেনা সদস্য নিহত ও আহত হয়েছে।

বিবরণ অনুযায়ী, গত ১৪ মে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশু ও বাল’আদ শহরে দুটি পৃথক হামলা চালিয়েছেন প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। যার প্রথম হামলাটি একটি বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ আল-মাদিনা শহরে চালানো হয়। এতে সোমালি গাদ্দার সামরিক বাহিনীর কমপক্ষে ৬ সেনা নিহত এবং আরও বেশ কিছু সেনা আহত হয়।

এদিন মুজাহিদগণ তাদের দ্বিতীয় সফল অভিযানটি চালান বাল’আদ শহরের উপকন্ঠে। যেখানে ক্রুসেডার বুরুন্ডিয়ান সেনাদের একটি টহলরত দলকে টার্গেট করে বোমা বিস্ফোরণ ঘটান মুজাহিদগণ। এতে অন্তত ৩ বুরুন্ডিয়ান সেনা নিহত এবং আহত হয়।

বরকতময় এই হামলার একদিন আগে, সোমালিয়ার যুবা ও শাবেলি রাজ্যে আরও ২টি সফল অভিযান পরিচালনা করেছেন আশ-শাবাব মুজাহিদিন।

যার প্রথমটি চালানো হয় যুবা রাজ্যের কিসমায়ো শহরের উপকণ্ঠে। যেখানে সোমালি সেনারা আশ-শাবাবের একটি অবস্থানে হামলার চেষ্টাকালে নিজেরই হামলার শিকারে পরিণত হয়। আশ-শাবাব মুজাহিদিন ভারী অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা সোমালি বাহিনীর উক্ত আক্রমণ প্রতিহত করেন। ফলশ্রুতিতে সোমালি সামরিক বাহিনীর ৭ সেনা সদস্য নিহত এবং আরও ৭ সেনা সদস্য আহত হয়। একই সাথে সেনাদের একটি সামরিক যানও ধ্বংস করেন প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের বীর যোদ্ধারা।

এদিন শাবেলি রাজ্যের মাহদায়ী শহরেরও একটি তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যেখানে প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের বীর মুজাহিদরা দখলদার বুরুন্ডিয়ান সেনাদের একটি সামরিক ঘাঁটিতে অতর্কিত হামলা চালান। এতে ব্যাপক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। ফলশ্রুতিতে বুরুন্ডিয়ান সামরিক বাহিনীর একে একে ৬ সেনা সদস্য নিহত হয়। একেই সাথে আরও ৪ সেনা গুরুতর আহত হয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র অ্যামেরিকা আবার সোমালিয়ায় কয়েক শত সেনা পাঠানোর ঘোষণা দেওয়ার পরেই হামলার মাত্রা ও তীব্রতা আরেক  দফায় বৃদ্ধি করলেন আশ-শাবাব মুজাহিদিন। বিষয়টা অ্যামেরিকাকে সেনা পাঠাতে দ্বিতীয়বার ভাবাবে বলে মত তাদের।

2 মন্তব্যসমূহ

  1. মুলত বিষয়টা হল আমেরিকা এখানে যুদ্ধ করতে আসবে এমন না।
    বরং দেখা যাবে সে তার দাদাগিরি মনোভাব থেকেই আসতে চাচ্ছে যেন আফগানের দোহা চুক্তির মত,কোন একটা চুক্তির রাস্তা সে খুলতে পারে।
    জাতিসংঘের কথিত শান্তি বাস্তবায়নটা শো করতে চাচ্ছে এটা তার মূল উদ্দেশ্য।

    বাকিটা আল্লাহ আলাম

Leave a Reply to মেজর ইশফাক ভাট প্রতিউত্তর বাতিল করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধজায়নিস্ট আগ্রাসন || ফিলিস্তিনি যুবককে গুলি করেই গুম করে ফেললো ইসরাইল
পরবর্তী নিবন্ধটিটিপি ও ইসলামাবাদ সরকারের মধ্যে আলোচনা: যুদ্ধ না দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি?