ফিলিস্তিন ও কাশ্মীর ইস্যুতে বরাবরই সরব আল-কায়েদা নেতা শাইখ আয়মান আজ-জাওয়াহিরি (হাফিজাহুল্লাহ)। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তাঁকে উপমহাদেশের বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহ নিয়ে প্রায়ই মূল্যায়ন করতে দেখা গেছে। সেই ধারাবাহিকতায় কাশ্মীরের চলমান সংকট নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ফিলিস্তিনের ইতিহাস টেনে আনেন তিনি। আল-কায়েদার সর্বোচ্চ এই নেতা মুসলিমদেরকে এটাই বুঝাতে চেয়েছেন যে, কাশ্মীরে ফিলিস্তিনের ঘটনারই পুনরাবৃত্ত হচ্ছে। আর উভয় স্থানের ঘটনাগুলোই যে একই সূত্রে গাঁথা- সেটাও তিনি বুঝানোর চেষ্টা করেন।
উপমহাদেশে বৈশ্বিক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনীটির মুখপত্রের ভূমিকা পালনকারী মিডিয়া শাখা “আস-সাহাব উপমহাদেশ” থেকে প্রকাশিত হয় প্রায় ৪৭ মিনিটের দীর্ঘ একটি ভিডিও। যার শিরোনাম ছিলো “কাশ্মীর ও ফিলিস্তিন: একই গল্পের পুনরাবৃত্তি।” কাশ্মীর এবং ফিলিস্তিনের ফুটেজ দিয়ে শুরু হওয়া ভিডিওটিতে এই দুই অঞ্চলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের কার্যক্রমকে জোরালোভাবে প্রচার করা হয়েছে।
প্রথমে শাইখ আয়মান আল-জাওয়াহিরি (হাফিজাহুল্লাহ) কাশ্মীরীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “হে কাশ্মীরের ভাইগণ! আপনাদের সঙ্কট এক মাজলুম উম্মতের উপর চালানো জুলুমের অংশ। যাদের সম্পদ ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে ও ভূমি বন্টন করে দেওয়া হয়েছে। আপনাদের এই জখম মালি, সোমালিয়া, ফিলিস্তিন, শাম, ইরাক, আফগান ও বার্মা সহ সর্বত্র মুসলিম উম্মাহর চলমান জখমের অংশ।”
অতঃপর ভিডিওটিতে ফিলিস্তিন ইহুদিদেরকে এবং কাশ্মীর ভারতকে দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্রিটিশদের রাজনৈতিক ও সামরিক ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। উভয় অঞ্চলে মুসলিমদের উপর হামলার ক্ষেত্রে, কাশ্মীর এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে মিল রয়েছে- তা স্পষ্ট করা হয়।
ঐতিহাসিক ধারা-বর্ণনায় এটি মনে করিয়ে দেওয়া হয় যে, ভারতীয় সৈন্যরা ১৯১৮ সালে ব্রিটিশদের সাথে মিলে উসমানীদের কাছ থেকে হাইফা শহর দখল করেছিল। সেখানে বলা হয়েছে, ব্রিটিশদের পরে ইসরায়েলের রক্ষকের ভূমিকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যায়।
ভিডিওটি আরোও মনে করিয়ে দেয় যে, ফিলিস্তিন এবং কাশ্মীরে ২০১৯-২০ সময়কালে ইসরায়েল এবং ভারতের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর মাধ্যমে অঞ্চলগুলোকে নতুন সংকটের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে আসা হয়। ভিডিটির একদিকে দুই অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান সংকটের অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়, অন্যদিকে আল-কায়েদা নেতা শাইখ জাওয়াহিরির এই বিষয়ে মূল্যায়নগুলো তুলে ধরা হয়।
ভারতের সিদ্ধান্ত মুসলিম দেশগুলোর শাসকদের উপর চপেটাঘাত :
শাইখ আয়মান আল-জাওয়াহিরি (হাফিজাহুল্লাহ) ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়া সংক্রান্ত ভারতের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বলেন, “ভারত সরকার কর্তৃক কাশ্মীরকে ভারতের সাথে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত মুসলিমদের ভূমিগুলো উপর শাসনকারী সরকারদের মুখে একটি চপেটাঘাত। এ সিদ্ধান্ত নেওয়া সময় তাদের আস্থা ছিল যে, আন্তর্জাতিক (জাতিসংঘ ও আমেরিকা সহ পশ্চিমা দেশগুলো) অপরাধীরা তাদেরকে রক্ষা করবে। একইভাবে পাকিস্তানে পর্দার পিছন থেকে দেশ পরিচালকারী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও এর বিরোদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয় নি বা নিতে অক্ষম ছিলো।”
ভিডিওতে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কিছু কথা রয়েছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন একটি বিবৃতিতে খান বলেছিল –
“আমি আপনাকে আজ কিছু কথা বলতে চাই। যদি কেউ কাশ্মীরে যুদ্ধ করতে বা জিহাদ করার জন্য পাকিস্তান থেকে ভারতে যাওয়ার কথা ভাবেন, তাহলে সবকিছুর পূর্বে তা হবে কাশ্মীরিদের জন্য ক্ষতিকর। যদি কোন ব্যক্তি, কোনভাবে পাকিস্তান থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়, আমি অকপটে বলতে পারি যে, সে পাকিস্তানের এবং কাশ্মীরিদের শত্রু।”
কাশ্মীরে পাকিস্তানের ও ফিলিস্তিনে আরব রাষ্ট্রের ভূমিকা একই :
ভিডিওটির এক স্থানে আল-কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশের নেতা উস্তাদ ওসামা মাহমুদ (হাফিজাহুল্লাহ)-এর মতামত অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি বলেন, “সেই ব্যক্তিরা কারা, যারা মুজাহিদিন এবং উম্মাহর সম্পদ কাশ্মীরে প্রবেশ করতে বাধা দিচ্ছে? তারা হল পাকিস্তানের শাসক ও জেনারেলরা। এই গাদ্দাররা কাশ্মীরে হুবহু সেই ভূমিকাই পালন করছে, যেই ভূমিকা ফিলিস্তিনে আরব শাসক ও সেনারা পালন করছে।”
আল-কায়েদার প্রকাশিত এই ভিডিওটিতে আরব রাষ্ট্রগুলো কর্তৃক ভারতের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের সাথে ঘনিষ্ঠতা তৈরি সম্পর্কে সমালোচনা করা হয়। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার তাদের এ নীতির জন্য সমালোচিত হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে শাইখ জাওয়াহিরি বলেন, “ইসলামী ভূমিতে চেপে বসা শাসকদের বিশ্বাসঘাতকতা এবং ভারতের সাথে তাদের সহযোগিতা আশ্চর্যজনক নয়। বরং, এই সরকারগুলো যদি মুসলিমদের সত্যিকারের খেদমত করত, তাহলে তা অবাক হওয়ার বিষয় হত। বাস্তবতা হলো, এই সরকারগুলো সর্বদা কুফুরী বিশ্ব-ব্যবস্থার প্রতি অনুগত ও বিশ্বস্ত ছিল। যা তাদেরকে এখানে বসিয়েছে ও তাদের ভূমিকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।”
আল-কায়েদা নেতা শাইখ আয়মান আজ-জাওয়াহিরি আরও বলেন, “এটি একটি দীর্ঘ যুদ্ধ, যা ধৈর্য সহকারে এবং এক জাতি হিসেবে করা উচিত। যেখানে এক জাতি হয়ে বিভিন্ন ফ্রন্টে একই জিহাদ পরিচালনা করা হবে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, সারা বিশ্বের মুসলমানরা একক যুদ্ধে লড়ছে এবং শত্রু একই। ভিডিওটিতে বলা হয়, বিশ্বের অনেক শক্তি একত্রিত হয়েছে কথিত “সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার” বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে আদতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে।
বিশ্বে চলমান এই যুদ্ধ বিশ্বাসের যুদ্ধ :
ভিডিটির এক পর্যায়ে ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাক্তন আমীর শহীদ মাওলানা আসিম উমর (শানাউল-হাক্ব সাম্ভালী) রহিমাহুল্লাহর বক্তব্যও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেখানে তিনি বলেন, “বিশ্বে যে যুদ্ধ চালানো হচ্ছে তা একটি বিশ্বাসের যুদ্ধ। আন্তর্জাতিক ইহুদি শক্তিগুলো সকল অঞ্চল থেকে এই যুদ্ধে ভারতকে সমর্থন করছে। কেননা এটা অসম্ভব যে, বহিরাগত সমর্থন ছাড়াই ভারত কাশ্মীরে এই ভয়ংকর নির্যাতন চালিয়ে যাবে। এটাও অসম্ভব যে, তারা একাই আসাম থেকে ১৯ লাখ মুসলিমকে বহিষ্কার করার মতো ব্যাপক পদক্ষেপ নিবে। আমাদেরকে এই যুদ্ধটা ভালভাবে বুঝতে হবে। আমেরিকা থেকে ভারত, বৃটেন থেকে ইসরাইল- একই যুদ্ধ।”
মুসলিমরা আজ বিভক্ত :
শাইখ আইমান আজ-জাওয়াহিরি বর্তমান মুসলিম বিশ্বের আঞ্চলিক সীমানাগত বিভক্তির সমালোচনা করে বলেন, “অমুক ফিলিস্তিনি, যার কাছে ফিলিস্তিন ছাড়া আন্য কিছুর গুরুত্ব নেই। তমুক সিরিয়ান, যার সাথে সিরিয়ার বাইরের সমস্যাগুলোর সাথে কোন সম্পর্ক নেই। এমনিভাবে মিশরীয়, ভারতীয়, তুর্কি, তারা সবাই এরকম। তারা প্রত্যেকে কেমন যেনো শরিয়ার আদেশ অমান্য করে চলছে। তারা আঞ্চলিক, জাতীয়তাবাদী ও ধর্মনিরপেক্ষ হয়ে উঠছে। যাদের সাথে অন্য অঞ্চলের তাদের মুসলিম ভাইদের কোন সম্পর্ক নেই। তারা মুসলিম উম্মাহর সঙ্কটগুলো মোকাবিলা করার পরিবর্তে কমিউনিস্ট, নাস্তিক এবং জাতীয়তাবাদী অন্যান্য দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সাথে সমঝোতা ও ঐক্যের আহ্বায়ক হচ্ছে। আর এটিই মুসলমানদের শত্রুদের পরিকল্পনা, যাতে মুসলিমদের ঐক্য ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।”
তিনি আরও বলেন, “ফলে আল্লাহ ও রাসূলের ﷺ আদেশ অমান্য করার নিশ্চিত ফলাফল হচ্ছে দুনিয়া ও আখেরাতের পরাজয় ও ধ্বংস।”
শায়খ জাওয়াহিরি বলেন, “অবশ্যই আন্তর্জাতিক জোটগুলো বড় অপরাধী। পরাজিত মানসিকতার সুবিধাবাদীরা কাশ্মীরে আমাদের ভাইদের প্রচেষ্টাগুলোকে- জাতিসংঘের অধীনে গণভোট ভিক্ষা করা, বড় বড় রাষ্ট্রগুলোর সমর্থনের আশ্বাস দিয়ে এবং আরবের পেট্রোল-চোরদের তহবিলের কথা বলে তারা কাশ্মীরিদেরকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে এবং তাদের পবিত্র সংগ্রামকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে। অথচ তাদের এসবের পুরোটাই আবর্জনা এবং বাজে কথা। কাশ্মীরিদের সংগ্রাম থেকে বিরত রাখতে এগুলো তাদের গৃহীত পদক্ষেপসমূহের কিছু অংশ মাত্র।”
প্রকাশিত ভিডিওতে, সৌদি আরবে চলমান কথিত সংস্কারের নামে বেহায়াপনা ছড়ানো কার্যক্রমের সমালোচনা করা হয়েছে। একই সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কাতারের সহযোগিতা এবং বিশ্বকাপের জন্য অর্থ ব্যয় করার বিষয়ে সমালোচনা করা হয়। কারণ কাতার এই উদ্দেশ্যে ২০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে। ভিডিওতে বলা হয়েছে যে “এই অর্থ দিয়ে শুধুমাত্র কাশ্মীর নয়, সমগ্র ভারতকে মুক্ত করা যেতে পারত।”
ভিডিওটিতে শহিদ (ইনশা আল্লাহ্) জাকির মুসার বক্তৃতাও রয়েছে। যিনি কাশ্মীর ভিত্তিক ‘আনসার গাজওয়াতুল হিন্দ’ নামক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনীর অন্যতম নেতা। তিনি বলেন, “হে শহীদের উত্তরাধিকারীগণ! তোমাদের সমস্যার সমাধান জাতিসংঘে নেই। তোমাদের সমস্যার সমাধান কুরআন ও হাদিসের আলোকে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর পথেই রয়েছে।”
শাইখ জাওয়াহিরি এই পর্যায়ে কাশ্মীরী জনগণকে সম্বোধন করে বলেন, “কাশ্মীর সমস্যার সমাধান এবং তাঁদের ভূমি পুনরুদ্ধার করা এবং এই ভূমিকে শরিয়াহ দিয়ে শাসন করা শুধুমাত্র জিহাদ, আত্মত্যাগ এবং হিজরত ও নুসরতের মাধ্যমেই সম্ভব।”
এখানে শায়খ আবু ইয়াহয়া আল-লিবীর আলোচনাও এসেছে। তিনি বলেন, “কাশ্মীর আজাদীর অর্থ কী? দেখো! আমাদের কাছে আদাজীর এক বিশেষ ইসলামী অর্থ রয়েছে। যা কুরআন-সুন্নাহ ও উলামাদের দ্বারা প্রমাণিত। তা হলো কোনো অঞ্চল তার প্রকৃত বাসিন্দাদের হাতে ফিরে আসা, যাতে তাঁরা ইসলামি শরিয়াহ মুতাবেক তা শাসন করতে পারেন।”
ভিডিওতে আরও বলা হয়েছে যে, আফগানিস্তানের যুদ্ধ এবং অর্জিত বিজয় কাশ্মীরের জনগণের জন্য একটি ভালো উদাহরণ। তাঁরা যেভাবে জিহাদের মাধ্যমে কুফফার বিশ্বকে পরাজিত করেছে, কাশ্মীরেও জিহাদের মাধ্যমে মুসলিমরা বিজয়ী হবে।
মুসলিম দেশের শাসকদের গাদ্দারী :
ভিডিওতে কাশ্মীরী মুজাহিদদের সাহসিকতার প্রশংসা করা হয়। সাথে সাথে এটাও বলা হয়েছে যে, কাশ্মীরের দলগুলোকে পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের থেকে দূরে থাকতে হবে, যাতে তারা কাশ্মীরের সংগ্রাম নষ্ট করতে না পারে, যেটি তারা যুগ যুগ ধরে করে আসছে।
শাইখ আইমান আজ-জাওয়াহিরি বলেন, “কাশ্মীরীদেরকে প্রথমে আল্লাহ তায়ালার উপর, অতঃপর নিজেদের উপর নির্ভর হয়ে উঠতে হবে। সেই সাথে মুজাহিদিন, উলামা ও দ্বীনের সাহায্যাকারীদের উপর। কেননা কোনো শাসক, আন্তর্জাতিক কোনো শক্তি তাঁদের কোনো উপকার তো করবেই না, উল্টো তাঁদের ক্ষতি করবে এবং তাঁদের নিয়ে ব্যবসা করবে।”
ভিডিওর এই পর্যায়ে উপমহাদেশের বর্তমান আমীর উস্তাদ উসামা মাহমুদ (হাফিজাহুল্লাহ’র) বক্তব্য নিয়ে আসা হয়। তিনি বলেন, “যদি কাশ্মীরীরা এই গাদ্দারী- যা পিঠে ছুরি মারে- তা সমাধান না করে জুলুম প্রতিরোধের চেষ্টা করেন, তাহলে এই যুদ্ধ কখনোই শেষ হবে না। তাঁদেরকে হিন্দুদের জুলুমের সাথে সাথে পাকিস্তানী জেনারেলদের গাদ্দারীও প্রতিহত করতে হবে।”
এই প্রসংগে শাইখ আইমান আজ-জাওয়াহিরি বলেন, “বৈশ্বিক অপরাধী, পরাজিত ও সুবিধাবাদী লোকেরা এই চেষ্টা করবে যে, এই ভূমিতে জিহাদের পর যাতে সেকুল্যার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়। তোমাদের সামনে মিসর, সুদান ও আল জাজায়েরের উদাহরণ রয়েছে। যেখানে এধরণের ভুল পদক্ষেপের কারণে সব ধ্বংস হয়ে গেছে”।
হিন্দুরা মুসলিমদেরকে নিশ্চিহ্ন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে :
অতঃপর ভিডিওতে অনেক হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী নেতার বক্তব্য যুক্ত করা হয়েছে। যেখানে তারা পূরো হিন্দুস্তান থেকে ইসলাম ও মুসলিমদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। অতঃপর এর বাস্তবায়ন হিসেবে আসাম, দিল্লি সহ পূরো ভারতে মুসলিমদের উপর নির্যাতনের প্রমান পেশ করা হয়েছে। যা সরাসরি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনে হচ্ছে। সেই সাথে হিন্দুরা কিভাবে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য পুরুষ-নারী এমনকি শিশুদেরকেও প্রশিক্ষন দিচ্ছে- তার চিত্র দেখানো হয়।
ভিডিওটি ভারত, কাশ্মীর, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং অন্যান্য অঞ্চলের ফুটেজসহ ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামী জাগরণ প্রক্রিয়াকে নির্দেশ করা হয়েছে। ভিডিওটি শাইখ আইমান আজ-জাওয়াহিরি কর্তৃক এই অঞ্চলের মুসলমানদের “নিজেরদের অধিকার রক্ষার জিহাদে একত্রিত হওয়ার আহ্বান” জানিয়ে শেষ করা হয়েছে।
প্রতিবেদক : ত্বহা আলী আদনান
ভিডিও লিংক :
“ভারত, কাশ্মীর, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং অন্যান্য অঞ্চলের ফুটেজসহ ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামী জাগরণ প্রক্রিয়াকে নির্দেশ করা হয়েছে। ভিডিওটি শাইখ আইমান আজ-জাওয়াহিরি কর্তৃক এই অঞ্চলের মুসলমানদের “নিজেরদের অধিকার রক্ষার জিহাদে একত্রিত হওয়ার আহ্বান” জানিয়ে শেষ করা হয়েছে।”আল্লাহর কসম ভাই এক হওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি
কাশ্মীর সমস্যার সমাধান এবং তাঁদের ভূমি পুনরুদ্ধার করা এবং এই ভূমিকে শরিয়াহ দিয়ে শাসন করা শুধুমাত্র জিহাদ, আত্মত্যাগ এবং হিজরত ও নুসরতের মাধ্যমেই সম্ভব।”
মুসলিম ভূখন্ডগুলোকে ইসলামী শরীয়া শাসন দারা পরিচালনার জন্য দরকার দুই ফোঁটা পানি একটি লাল আরেকটি সাদা আর তা শুধুমাত্র জিহাদ, আত্মত্যাগ এবং হিজরত ও নুসরতের মাধ্যমেই সম্ভব