গাজায় দিনভর সন্ত্রাসী ইসরাইলের হামলা, শিশুসহ নিহত ১০ আহত ৫৫

ইউসুফ আল-হাসান

1
525

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গতকাল (৫ আগস্ট) দিনভর ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইল। ফিলিস্তিনি মায়েদের করুণ আর্তনাদ ও রক্তে ভারী হয়ে উঠছে ফিলিস্তিনের ভূমি। হামলায় শিশুসহ অন্তত ১০ জন নিহত ও ৫৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতাহতের খবর নিশ্চিত করে জানিয়েছে, হামলায় এক শিশুসহ আল কুদস ব্রিগেডের কমান্ডার তায়াসির আল-জাবারিও নিহত হয়েছেন। গাজা উপত্যকার কয়েটি এলাকা লক্ষ্য করে হামলাটি চালিয়েছে সন্ত্রাসী ইসরাইল।

গত সোমবার (১ আগস্ট) ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অভিযান চালিয়ে একজনকে হত্যা ও ফিলিস্তিনের এক সিনিয়র কর্মকর্তাসহ ২ জনকে গ্রেফতার করে সন্ত্রাসী ইসরাইল। এ সময় তার স্ত্রীকে আহত করে ইসরাইলি বর্বর সেনারা। এর প্রেক্ষিতে কয়েকদিন ধরে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল ফিলিস্তিনিরা। এর প্রতিবাদ চলাকালিন সময়েই বর্বর হামলা চালালো ইসরাইল।

বিবৃতিতে হামলার কথা স্বীকার করে সন্ত্রাসী ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আসন্ন হুমকি মোকাবেলায় ‘ব্রেকিং ডন’ নামক এ হামলা চালানো হলো। দখলদার প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ হুমকি দিয়ে বলেছে, ‘ইসরাইলের ক্ষতি করার জন্য কেউ উঠে দাঁড়ালে তার কাছে আমরা পৌঁছে যাব। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী ইসরাইলের নাগরিকদের হুমকি দূর করতে ইসলামিক জিহাদের সদস্যদের দমন করবে।’

আগ্রাসী ইসরাইলের মুখপাত্র রিচার্ড হেইস্ট ফিলিস্তিনিদের হুমকি দিয়ে সাংবাদিকদের বলেছে, আমরা এখনও যুদ্ধ শেষ করিনি।’

ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে দখলদার বাহিনীর আগ্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত কোন আরব রাষ্ট্র প্রতিক্রিয়া জানায়নি। কথিত জাতিসংঘ ও পশ্চিমা বিশ্ব বরাবরের ন্যায় এখনও মৌন সম্মতি দিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসবাদী ইসরাইলকে। অসহায় মুসলিমদের তাই নিজেদের প্রতিরক্ষার দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নেওয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প পথ আছে কি না – এমন প্রশ্ন রেখেছেন ইসলামি চিন্তাবীদগণ।



তথ্যসূত্র:
——–
1. Ten killed in Israeli airstrikes on Gaza Strip, 55 others injured, says Health Ministry-
https://tinyurl.com/mpbu3fz3

১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআসামে বুলডোজার দিয়ে মাদ্রাসা ভেঙ্গে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন
পরবর্তী নিবন্ধগুজরাটে হিন্দুদের হামলার শিকার মুসলিম তরুণ, অভিযোগ আমলে নেয়নি পুলিশ