পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় ২০০৮ সাল থেকে ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা “হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন” এর ব্যানারে তাদের শরিয়াহ্ প্রতিষ্ঠার লড়াই শুরু করেন। যা আজও চলমান রয়েছে। প্রতিরোধ বাহিনীটি গত (১৯/০৮/২২) শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানী মোগাদিশুর সবচাইতে সুরক্ষিত এলাকায় অবস্থিত গভার্নমেন্ট নিয়ন্ত্রিত ‘হায়াত হোটেল’ অবরোধ করেন এবং সেখানে তীব্র আক্রমণ শুরু করেন। যা আজ ২১ আগস্ট দ্বিপ্রহরের বেশ কিছুক্ষণ পর শেষ হয়েছে। জানা যায় যে, পশ্চিমা-সমর্থিত সোমালি সরকারের বিরুদ্ধে আশ-শাবাবের প্রতিরোধ যুদ্ধের ইতিহাসে পরিচালিত বীরত্বপূর্ণ অভিযান সমূহের মধ্যে এখন পর্যন্ত এটিই সবচাইতে দীর্ঘতম অভিযান।
বরকতময় এই অভিযানটি শুরু হয়েছিলো দু’টি ইস্তেশহাদী হামলার মাধ্যমে। পরে যা সুসম্পন্ন করেছেন হারাকাতুশ শাবাবের একদল কিংবদন্তি লড়াকু সৈনিক।
আশ-শাবাবের এই কিংবদন্তি লড়াকু যোদ্ধাদের প্রতিহত করতে “হায়াত হোটেল” অভিযানে অংশগ্রহণ করে ক্রুসেডার আমেরিকা ও স্যেকুলার তুরষ্কের প্রশিক্ষিত স্পেশাল ফোর্স ছাড়াও ৫ টি সামরিক ইউনিট। কিন্তু তাদের কুফ্ফার বাহিনী সর্বাত্মক চেষ্টা করেও এই অভিযান প্রতিহত করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। ফলে শুক্রবার শুরু হওয়া অভিযান রবিবার পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয়।
আর দীর্ঘ এই যুদ্ধে আশ-শাবাবের বীর যোদ্ধাদের হামলায় ৭ মন্ত্রী, ৪ কর্নেল এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সহ সামরিক বাহিনীর ৬৩ এরও বেশি গাদ্দার নিহত হয়। এছাড়াও অভিযানের সময় আহত হয় আরও ১০৭ এরও বেশি গাদ্দার। যাদের মাঝে দেশটির পুলিশ বাহিনীর প্রধান এবং গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান সহ উচ্চপদস্থ অনেক কর্মকর্তা রয়েছে।
এই বিপুল সংখ্যক গাদ্দারের হতাহতের ঘটনায় সামরিক বাহিনী যেনো তাদের সকল প্রশিক্ষণই ভুলে যায়। ফলে তারা তাদের মিত্রদের উদ্ধার না করেই ভবন লক্ষ্য করে বিভিন্ন ভারী অস্ত্র ও শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়, সেই সাথে তুর্কি এবং মার্কিন বাহিনীর ড্রোনগুলি থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে। ফলশ্রুতিতে হায়াত হোটেলে প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। ধ্বংসের পর সামরিক বাহিনী ঘোষণা করেছে যে, তারা ধ্বংসস্তুপ থেকে মাত্র ৩ জন আশ-শাবাব যোদ্ধার দেহ খুঁজে পেয়েছে।
এবিষয়ে আশ-শাবাবের সামরিক মুখপাত্র শাইখ আবু মুস’আব (হাফি.) জানান যে, আমাদের অভিযানটি ছিলো বহুমখী। যার প্রথম পর্ব ছিলো এক ঝড় তোলা, যাতে দীর্ঘ সময় ধরে এটি চলমান থাকে। দ্বিতীয়ত, চিহ্নিত গাদ্দারদের নিশ্চিহ্ন করা, এবং বাকিদের হত্যা না করেই হোটেল থেকে সরিয়ে দেওয়া। এরপর আমাদের অধিকাংশ কমান্ডো সুস্থাবস্থায় নিরাপদ স্থানে বেরিয়ে আসা এবং অন্য কয়েকজন লড়াই চালিয়ে যাওয়া। আলহামদুলিল্লাহ্, এর সম্পূর্ণটাই হয়েছে আমাদের সামরিক পরিকল্পনা অনুযায়ী। যার জন্য আমরা পূর্ব থেকেই সবকিছু প্রস্তত করে রেখেছিলাম।
ফলে অভিযানের প্রথম রাতেই অনেককে হোটেল থেকে সরানো হয়, এবং আজ অভিযানের শেষ মহূর্তে অধিকাংশ মুজাহিদই সুস্থাবস্থায় হোটেল থেকে নিরাপদ স্থানে বেরিয়ে আসেন। এসময় তাদেরক বের হতে সহায়তাকারী এবং শেষ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনার জন্য ভিতরে কয়েকজন মুজাহিদ থেকে যান।
মুখপাত্র আরও জনান যে, “পশ্চিমা-সমর্থিত নতুন প্রেসিডেন্ট হাসান এই ভূমিতে পূণরায় তার ক্রুসেডার মিত্রদের নিয়ে এসেছে। সে দাবি করেছে, মুজাহিদদের ঐক্যকে সে চূর্ণবিচূর্ণ এবং তাদের শক্তিকে ধ্বংস করে দিবে। কিন্তু তার এই দাবি ও ক্রুসেডারদের আগমনের পর মুজাহিদদের হামলা বেড়েছে। আর আজকের হামলার মাধ্যমে আমরা তার দাবির উল্টোটা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছি। এই হামলায় তাদের সৈন্য, সামরিক অফিসার, এমপি-মন্ত্রী এবং এজেন্টরা পিষ্ট ও ধ্বংস হয়েছে। তারা এখন জানাজা ও শোকসভায় নিয়ে পড়ে রয়েছে। এটাও জানিয়ে রাখি, তার পূর্বসূরিরাও আমাদেরকে একই দাবি এবং হুমকি দিয়েছিল, কিন্তু তারা শেষ হয়ে গেছে। অপরদিকে আশ-শাবাবের সীমানা বৃদ্ধি পেয়েছে, তাঁরা এখন পূর্বের চাইতেও আরও শক্তিশালী হয়ে দাড়িয়ে আছে।”
“আমি জানি, প্রেসিডেন্ট হাসান একজন বোকা লোক, যে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, অথচ এর জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিলো না।”
“জেনে রাখুন! আপনি গণতন্ত্র, ধর্মহীনতা এবং কুফরি সংবিধানের জন্য লড়াই করছেন, যাতে আপনি পরাজিত হবেন। কেননা আমরা এমন একটি ধর্মের জন্য লড়াই করছি, যাদেরকে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা বিজয় এবং ক্ষমতায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আর আল্লাহ্ তাআ’লার সামনে তোমার শক্তি এবং কৌশল কিছুই না।”
মুখপাত্র জনগণকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “শত্রুরা পরাজিত হয়েছে, আপনারা ইসলাম ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণ করবেন না, শত্রুদের কথায় কান দিবেন না। আর শত্রুবাহিনী সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত আপনারা মুজাহিদদের পাশে সীসা ঢালা প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে থাকবেন। যাতে করে আপনারা আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূলের সুন্নাহ অনুযায়ী পরিচালিত হয়ে, দুনিয়া ও আখেরাতে পূর্ণ স্বাধীনতা, নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধি উপভোগ করতে পারেন।”
প্রতিবেদক : ত্বহা আলী আদনান
mashaallah
আলহামদুলিল্লাহ এই অভিযানের সফলতার জন্য।
অচিরেই হাসান এর পতন ঘটবে ইনশাআল্লাহ।
খিলাফা আলা মিনহাজিন নাবউয়্য্যা এর নতুন সুর্য উদয় হবে বি ইজনিল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ, মনে হচ্ছে খুব শীঘ্রই আমরা আরেকটি ইসলামি ইমারাত দেখতে পাবো।
Alhamdulillah, Jago Muzahid Jago.
আল্লাহ আকবর আল্লাহ আকবর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ
Alhamdulillah
আল্লাহু আকবার কাবীরা ওয়াল হামদুলিল্লাহি হামদান কাসীরা….
আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ….
ওহ কি চমৎকার কথা আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালা বিজয়কে মনে হচ্ছে খুব কাছে নিয়ে এসেছেন।
দীর্ঘ ত্যাগ, রক্ত, অশ্রু, ঘাম ও অসংখ্য শহিদের জীবনের বিনিময়ে অচিরেই প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আর একটা ইসলামি ইমারাহ ইনশাআল্লাহ
Alhamdulillah
আলহামদুলিল্লাহ!
Alhamdulillah