সোমালিয়ার আধা-স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল পুন্টল্যান্ড। সম্প্রতি অঞ্চলটির গারোয়ে এলাকায় গোপনে শত শত সেনা ও যুদ্ধ সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের গাদ্দার প্রশাসন।
আঞ্চলিক সংবাদ সংস্থা সোমালি গার্ডিয়ান এর সূত্রে জানা যায়, সোমালিয়ার বোসাসো শহরে গত মাসের শুরু থেকে অন্তত ১২টি কার্গো বিমানে করে আরব আমিরাত থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনা সদস্য ও ২৫০টি সাঁজোয়া যান আনা হয়েছে। যেগুলো আরজি-৩৩ মডেলের মাইন রেজিস্ট্যান্ট এ্যামবুশ প্রটেকটেড (MRAP) যান।
অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, আরব আমিরাতের অন্তত ১৮০ সেনাকে সোমালিয়ায় আনা হয়েছে, যারা PMPF বাহিনীর ঘাঁটিতে অবস্থান করছে। এটি (PMPF) গাদ্দার আরব আমিরাতের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান, অর্থায়ন ও সামরিক প্রশিক্ষণ দ্বারা পরিচালিত একটি বাহিনী, যারা ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত।
হঠাৎ করে আমিরাতি সৈন্য ও যুদ্ধ সরঞ্জাম সোমালিয়ায় আনার পিছনে কারণ এখনো স্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে না। তবে এনিয়ে বিশ্লেষকরা দু’টি মন্তব্য করছেন।
তাহলো-
১- পুন্টল্যান্ড অঞ্চলে আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো।
২- সোমালিয়াজুড়ে আশ-শাবাবের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক, সামাজিক ও সামরিক প্রভাব এবং গাদ্দার সোমালি প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে আশ-শাবাবকে রুখা।
উল্লেখ্য যে, গাদ্দার আরব আমিরাতের সেনা ও যুদ্ধসরঞ্জাম এমন এক সময়ে এই অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে, যখন আরব আমিরাত ও মিশর তিন হাজারেরও বেশি সোমালি যুবককে নিয়োগ দিয়ে সামরিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এমনকি তারা সোমালি বাহিনীর হতাহত সদস্যদের চিকিৎসা দেওয়ার প্রতিশ্রুতীও দিয়েছে। ইতিপূর্বে কাতার, আরব আমিরাত, মিশর ও পাকিস্তান এই অঞ্চলে পশ্চিমা সমর্থিত গাদ্দার প্রশাসনকে টিকিয়ে রাখতে আর্থিকভাবে সহায়তা করলেও, আমিরাত এবার তুরষ্কের মতো সামরিক আগ্রাসন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেখানে সেক্যুলার তুরস্ক এই অঞ্চলে বছরের পর বছর ধরে আশ-শাবাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধে করে যাচ্ছে।
ও কোন পরিকল্পনা ও পদক্ষেপে কাজ হবে না মনু…
আল্লাহর বাহিনীর সামনে নাস্তানবোদ হয়ে যাবে মনে রাখিও ইনশআ আল্লাহ।
তাই আগেভাগে নিরাপদে জীবন নিয়ে পালা…!
লেজ গুটিয়ে পালনানোর সময় হয়েছে তাগুদের।