সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মধ্য সোমালিয়ার হিরান ও জালাজদুদ রাজ্যে হামলার গতি বাড়িয়েছেন আল-কায়েদা পূর্ব আফ্রিকা শাখার ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। অনেক যুদ্ধে তাঁরা শত্রুঘাঁটি ও এলাকা বিজয় করছেন, আবার অনেক যুদ্ধে তাঁরা আগ্রাসী শত্রুদের আক্রমণকারী বাহিনীকে সম্পূর্ণ নির্মূল করে ইসলামি এলাকার প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করছেন।
গত ১৩ নভেম্বর রবিবার তারিখেও উক্ত রাজ্যদু’টি সহ সোমালিয়ার বিভিন্ন শহরে এমন প্রায় ৭টি পৃথক অপারেশন পরিচালনা করছে ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের মুজাহিদগণ। এতে কয়েক ডজন গাদ্দার সৈন্য নিহত এবং আহত হয়েছে।
এসব অভিযানের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে, জালাজদুদ রাজ্যের “উদকির” শহরে মুজাহিদদের পরিচালিত একটি সফল আক্রমণ। যা শহরটিতে অবস্থিত গাদ্দার মোগাদিশু সামরিক বাহিনীর একটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। মুজাহিদদের ঐ অভিযানে শহরটির পুলিশ প্রধান সহ অন্তত ১৫ গাদ্দার সৈন্য নিহত হয়। সেই সাথে এই অভিযানে গাদ্দার বাহিনীর একটি সাঁজোয়া যান ধ্বংস হওয়া সহ আরও ৬ এরও বেশি সৈন্য আহত হয়েছে। আর বেঁচে যাওয়া সৈন্যরা ঘাঁটি ছেড়ে শহরের কেন্দ্রস্থলে পালিয়ে গেছে।
শত্রুদের এই পলায়নের পর মুজাহিদগণ সামরিক ঘাঁটিটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন। আর সেখানে কাপুরুষ শত্রুদের ফেলে যাওয়া অসংখ্য অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম গণিমত লাভ করেন।
এদিন আবার হিরান রাজ্যের আশ-শাবাব প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন হালজান শহরের কাছেও একটি ভারী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। যেখানে গাদ্দার বাহিনী শহরটি দখলের চেষ্টা করলে মুজাহিদগণ তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেন এবং জবাবী হামলা চালান।
ফলে কয়েক মিনিটের লড়াইয়েই যুদ্ধের মনোবল হারিয়ে বিক্ষিপ্ত হয়ে পরে গাদ্দার বাহিনী। কেননা লড়াইয়ের শুরুতেই মুজাহিদগণ আগ্রাসী বাহিনীর প্রধান কমান্ডারকে সহ তার গুরত্বপূর্ণ ৩ সৈন্যকে হত্যা করেন। সেই সাথে গাদ্দার বাহিনীর পঞ্চম ব্যাটালিয়ন কমান্ডার কর্নেল “বাকের” ও তার দেহরক্ষীদের বন্দী করে ফেলেন মুজাহিদগণ। যার ফলশ্রুতিতে বাকি সৈন্যরা অস্ত্র শস্ত্র ফেলেই ময়দান ছেড়ে পলায়ন করে।
এভাবেই শত্রুদের ইসলামি এলাকার দখল নেওয়ার সাধ সেদিনের মতো মিটিয়ে দেন উম্মাহর বীর সন্তান মুজাহিদগণ।
Alhamdulillah
মাশাআল্লাহ