পূর্ব আফ্রিকার জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী এবং আল-কায়েদার অন্যতম শক্তিশালী শাখা হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদীন এর নেতৃত্বস্থানীয় ৩ জন আমীর সম্পর্কে তথ্য দিতে ৩০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে সন্ত্রাসী আমেরিকা।
গত ১৪ নভেম্বর ক্রুসেডার আমেরিকার রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস এর টুইটার একাউন্ট থেকে প্রাথমিকভাবে ১৬ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়, এবং আশ-শাবাবের ৩ জন নেতার ব্যাপারে তথ্য প্রদানের আহবান জানানো হয়। এই ৩ নেতা হলেন: আশ-শাবাবের আমীর শায়েখ আবু উবাইদাহ (যিনি আহমাদ দিরিয়ে নামেও পরিচিত), গোয়েন্দা ডিভিশন ‘আমনিয়াত’ এর প্রধান মাহাদ কারাতে এবং আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা জিহাদ মোস্তফা।
প্রাথমিকভাবে শায়েখ আবু উবাইদাহ-এর তথ্য প্রদানের জন্য ৬ মিলিয়ন এবং বাকি দুই নেতার জন্য ৫ মিলিয়ন ডলার করে পুরস্কার ঘোষণা করে আমেরিকা।
কিন্তু পরবর্তীতে কেনিয়ায় অবস্থিত সন্ত্রাসী আমেরিকার রাষ্ট্রদূত এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, “আমরা আশ-শাবাব নেতাদের তথ্য প্রদানের জন্য দ্বিগুণ পুরষ্কার ঘোষণা করছি। যে কেউ আল-শাবাবের জ্যেষ্ঠ নেতা কিংবা তাদের অর্থনৈতিক নেটওয়ার্কের ব্যাপারে আমাদের কাছে তথ্য উপস্থাপন করতে পারবে – সে তথ্য যতই তুচ্ছ বা সাধারণ হোক না কেন, আমরা তাকে পুরস্কৃত করবো!”
Ma ka soo warbixin kartaa xog naga caawin karaa inaan helno Diiriye, Karatay, ama Mustafa?
Fadlan, noo soo gudbi macluumaadkaaga! Waxa laga yaabaa inaad u qalanto abaalmarin! pic.twitter.com/A9wG9YQUUE
— Rewards for Justice, Somali (@RFJ_Somali) November 14, 2022
এরপর তারা টুইটারে পুনরায় বার্তা প্রদান করে এবং ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ-শাবাবের উক্ত তিন নেতার প্রত্যেকের ব্যাপারে তথ্য প্রদানের জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার করে মোট ৩০ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করে।
উল্লেখ্য যে, দীর্ঘ ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে আশ-শাবাবের সাথে লড়াই করে সন্ত্রাসী আমেরিকার বুঝতে পেরেছে যে, অস্ত্র দিয়ে তাঁদেরকে ঘায়েল করা সম্ভব না। তাই নিরুপায় হয়ে আমেরিকা এবার শাবাবের অর্থনৈতিক নেটওয়ার্ককে টার্গেট করার চেষ্টা করছে। যাতে শাবাবের যুদ্ধ চালনার সামর্থ্য কমে আসে।
তাছাড়া আমেরিকা খুঁজছে মুসলিমদের ভিতরের কোনো গাদ্দার, যারা ডলারের লোভে ঈমান বিক্রি করে আমেরিকাকে সাহায্য করবে। তবে তাদের এই কৌশল প্রতিবারেরমতো এবারো ব্যর্থ হবে, ইনশাআল্লাহ। কেননা আশ-শাবাব এখন পূর্বের যেকোনো সময়ের চাইতে যথেষ্ট স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং কৌশলী, আলহামদুলিল্লাহ।
ফলশ্রুতিতে পশ্চিমাদের গোলাম সরকারের কর্মকর্তারা আফসোস করে বলতে বাধ্য হচ্ছে যে, “আমরা (আশ-শাবাব থেকে) দখল করা প্রতিটি জমিই কয়েকদিনের ব্যবধানে হারিয়ে ফেলছি এবং এটি মেনে নেওয়া খুবই কঠিন।”
অর্থাৎ সোমালি গাদ্দার সৈন্যরা যখন কোনো এলাকায় ভারী অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হামলা করতে আসে, তখন আশ-শাবাব মুজাহিদিন কৌশলগত কারণে সাময়িক সময়ের জন্য সেখান থেকে পিছু হটেন। আর গাদ্দার বাহিনী যখনই ভাবতে শুরু করে যে তারা বিজয়ী হয়ে এবং এই আনন্দ উক্ত এলাকায় আরও সরঞ্জাম জমা করে, তখনই শাবাব মুজাহিদিন আরও শক্তি নিয়ে হামলা করে বসেন। এর মধ্য দিয়ে মুজাহিদগণ উক্ত এলাকায় শত্রুর আনা অস্ত্র ও সরঞ্জাম পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেন- আলহামদুলিল্লাহ।
হে আল্লাহ তুমি তোমার একনিষ্ট বান্দাদের কুদরতী হাতে হেফাযত কর
এবং কুফফারদের সকল সকল চক্রান্তকে নশাত করে দাও