সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের পাকিস্তান বংশোদ্ভূত আইনপ্রণেতা লর্ড হুসেইন কাশ্মীরে ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে নতুন ‘হিন্দু প্রধানমন্ত্রী’ ঋষি সুনাককে কথা বলার আহবান জানিয়েছে। লর্ড হুসেইনের এই আহবানে না সূচক সাড়া দিয়ে ঋষি সুনাক বলেছে, “কাশ্মীর আমাদের বিষয় না। এটা ভারত-পাকিস্তানের বিষয়। তাদের দুই দেশের উচিত এ বিষয়ে একটি স্থায়ী সমাধানে আসা।”
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে মুসলিম বিশ্বের প্রতি পশ্চিমাদের দ্বিমুখী নীতি আবারও সবার সামনে উন্মোচিত হলো।
কাশ্মীরে বিগত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আসছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। খুন, ধর্ষণ, অঙ্গ অপসারণ, অপহরণসহ নানা সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ড তারা করে যাচ্ছে কাশ্মীরে। অথচ এতকিছুর পরও কাশ্মীর ইস্যুতে যুক্তরাজ্যের কোন কথা না বলা স্বাভাবিকভাবে এটাই প্রমাণ করে যে, কাশ্মীরকে তারা স্বাধীন হতে দিতে চায় না। কারণ কাশ্মীর হলো একটি মুসলিম প্রধান ভূখণ্ড।
কিন্তু অন্যদিকে সুদান, ইন্দোনেশিয়া কিংবা ফিলিস্তিনের মতো মুসলিম দেশগুলোর ক্ষেত্রে এদের আচরণ হয় সম্পূর্ণ ভিন্ন। এসব মুসলিম দেশকে ভাগ করে সেটা ইহুদী-খ্রিষ্টানদের দিতে তারা কখনওই দ্বিতীয়বার চিন্তা করে না। তখন তাদের মুখ থেকে এটা বের হয় না যে তিমুর কিংবা জেরুজালেম ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তখন তারা বলে না যে, “আমরা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবো না।”
পশ্চিমাদের এমন কপটতা স্পষ্টতই মুসলিমদের বিরুদ্ধে তাদের ‘শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব’ বা বিদ্বেষকে প্রকাশিত করে। সুতরাং কাশ্মীরি মুসলিমদের এমন মনে করার কোন কারণ নেই যে, কাশ্মীর ইস্যুতে পশ্চিমা বিশ্ব দখলদার হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের পক্ষে অবস্থান নিবে।
তাই কাশ্মীরি মুসলিমদের উচিত, কাশ্মীরকে স্বাধীন করতে দখলদার হিন্দুত্ববাদী বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা। সশরীরে লড়াই করতে না পারলেও অন্তত হক্বপন্থী স্বাধীনতাকামী দলকে সমর্থন ও সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য ও সহযোগীতা করা।
তথ্যসূত্রঃ
———
1. Wont interfere in Kashmir‼️— #RishiSunak Govt confirms
– https://tinyurl.com/2p8snan4
2. Rishi Sunak govt to intervene in Kashmir issue? UK PM snubs Pak-origin MP
– https://tinyurl.com/yzjuss9v