সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইয়েমেনে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী ও আরব আমিরাত সমর্থিত গাদ্দার মিলিশিয়াদের মাঝে তীব্র লড়াই চলছে। তবে এতে এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি করতে পারেনি গাদ্দার মিলিশিয়ারা। বিপরীতে আল-কায়েদার হামলায় প্রতিনিয়ত হতাহত হচ্ছে অসংখ্য গাদ্দার সৈন্য।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, গত ১৯ নভেম্বর থেকে গতকাল ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত গাদ্দার মিলিশিয়া ও প্রতিরোধ বাহিনী আনসারুশ শরিয়াহ্’র মধ্যে অন্তত ১১টি সংঘর্ষ হয়েছে। প্রতিটি হামলাতেই কোনো অগ্রগতি ছাড়াই পরাজয়ের গ্লাণি নিয়ে ফিরতে হয়েছে আরব আমিরাত সমর্থিত মিলিশিয়াদের।
আল-কায়েদার এসব হামলায় কিপরিমান মিলিশিয়া নিহত এবং আহত হয়েছে, তার সবগুলোর সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায়নি। তবে শাবওয়াহ ও আবয়ানের পরিচালিত ৫টি হামলায় এখন পর্যন্ত ৫ অফিসার সহ অন্তত ৫০ এর বেশি মিলিশিয়া হতাহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে স্থানীয় সূত্র।
এরমধ্যে শাবওয়াহ রাজ্যে আজ ২৭ নভেম্বর আল-কায়েদা যোদ্ধাদের পরিচালিত সর্বশেষ হামলায় ১ অফিসার সহ তার ডজনখানেক সৈন্য নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে একটি স্থানীয় গণমাধ্যম। এসময় মুজাহিদদের শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে গাদ্দার বাহিনীর ২টি সাঁজোয়া যানও ধ্বংস হয়েছে।
এই হামলার মাত্র ২দিন আগে শাবওয়াহ রাজ্যের আল-মাসানা এলাকায় গাদ্দার বাহিনীর একটি নিরাপত্তা পয়েন্ট লক্ষ্য করে হামলা চালান মুজাহিদগণ। এতে গাদ্দার বাহিনীর প্রথম ব্রিগেডের দ্বিতীয় ব্যাটালিয়নের কমান্ডার সালেম হায়দার নিহত হয়েছে, সেই সাথে আরও ৩ গাদ্দার সৈন্য আহত হয়েছে।
এর আগে আবইয়ান রাজ্যের মাহফাদ জেলায় গাদ্দার আল-তাওয়ারি মিলিশিয়া বাহিনীর একটি সামরিক কাফেলায় হামলা চালান আনসারুশ শরিয়াহ্’র মুজাহিদিন। এতে উক্ত মিলিশিয়া বাহিনীর কমান্ডার ফাহদ আল-মারফাদি এবং তৃতীয় ব্রিগেডের কমান্ডার সামির আল-মুশুশি সহ অন্তত ৫ সৈন্য নিহত হয়। এই হামলায় আহত হয় আরও ৩ এরও বেশি গাদ্দার মিলিশিয়া সদস্য।
একই রাজ্যের ‘ওয়াদি-ওমরান’ এলাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাড়াটে সদস্যদের একটি সামরিক কাফেলা লক্ষ্যবস্তু করে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস দ্বারা হামলা চালান মুজাহিদগণ। যার ফলশ্রুতিতে গাদ্দার মিলিশিয়াদের অন্তত ৪ সদস্য নিহত এবং আরও এক ডজনের মতো সৈন্য আহত হয়েছে।