হিন্দুত্ববাদী ভারতে উগ্র হিন্দুরা মুসলিম গণহত্যার জন্য মুখিয়ে আছে। পুরোদমে চলছে কর্মী সংগ্রহ, ব্যবস্থা করা হচ্ছে অস্ত্র প্রশিক্ষণের।
এবার বারাণসীতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একজন আধিকারিক সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে কুংফু প্রশিক্ষণের পাশাপাশি, “লাইসেন্সপ্রাপ্ত” তরোয়াল, ছুরি এবং লাঠি বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। বর্তমানে সারনাথ এলাকার লোহিয়ানগরের কাছে বারাণসীর বাল উপাসনা কেন্দ্রে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
একটি ফেসবুক পোস্টে, যা সিমালোচনার মুখে মুছে ফেলা হয়েছে, সঞ্জয় হিন্দু সিনহা, যে নিজেকে ভিএইচপির কাশী মহানগর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলে দাবি করে বলেছে, “১৫ দিনের জন্য বিনামূল্যে লাঠি প্রশিক্ষণ, এক মাসের জন্য ছুরি, এক মাস তলোয়ার এবং তিন মাস কুংফু প্রশিক্ষণ, তারপর লাঠি ও ছুরি সহ তলোয়ার লাইসেন্স বিনামূল্যে দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণের স্থান বাল উপাসনা কেন্দ্র লোহিয়া নগর, আশাপুরে অবস্থিত। সীমিত আসন, আজই নিবন্ধন করুন, সদস্যতা ফি, ১০০ টাকা।”
দৈনিক ভাস্করের মতে, পোস্টটি ৩ ডিসেম্বর শনিবার শেয়ার করা হয়েছে। এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিকবার শেয়ার করা হয়েছে।
As many as 200 persons are reportedly booked in connection with a Durga Vahini (women’s wing of VHP) rally organised in Kerala’s Thiruvananthapuram on 22 May. Swords were brandished in the rally, the complaint says. @TheQuint pic.twitter.com/YWh977BPzv
— Nikhila Henry (@NikhilaHenry) May 30, 2022
হিন্দুত্ববাদী সংগঠন, যেমন বজরং দল এবং ভিএইচপি, তাদের স্বেচ্ছাসেবকদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য পরিচিত। উদাহরণস্বরূপ, VHP-এর মহিলা শাখা, দুর্গাবাহিনী, ২০১৮ সালে আগ্রায় একটি শিবিরের আয়োজন করেছিল যেখানে মহিলাদের আত্মরক্ষার নামে কীভাবে রাইফেল এবং অন্যান্য অস্ত্র গুলি চালাতে হয় তা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। VHP অস্ত্র প্রশিক্ষণকে ‘শারীরিক ব্যায়াম’ হিসাবে চালালেও আসল উদ্দেশ্য ভিন্ন তা তাদের কার্যক্রমে প্রমাণ করে।
এই বছরের মে মাসে, কেরালার তিরুবনন্তপুরমে দুর্গাবাহিনী সমাবেশে তলোয়ার চালানোর জন্য কমপক্ষে ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।
২০১৯ সালে, হিন্দুত্ববাদী সংস্থার স্থানীয় সভাপতি সহ প্রায় ২৫০ জন ভিএইচপি কর্মীর বিরুদ্ধে পুনের পিম্পরি চিঞ্চওয়াড় এলাকায় একটি মিছিলের সময় এয়ারগান এবং তলোয়ার ছোঁড়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছিল। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন তাদেরকে কোন বিচারের আওতায় আনেনি। অন্যদিকে, মুসলিম যুবকদের শুধু সন্দেহের বশে বছরের পর বছর কারাগারে আটকে রেখেছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।
নয় ইঞ্চির বেশি দৈর্ঘ্যের তরোয়াল এবং ব্লেডের জন্য অস্ত্র আইনের অধীনে লাইসেন্স প্রয়োজন। অস্ত্র আইনে লাইসেন্স ছাড়া অস্ত্র বহন করলে জেল ও জরিমানা হতে পারে। তাই হিন্দুত্ববাদীরা লাইসেন্স সহকারে অস্ত্র প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে। হিন্দুত্ববাদী প্রায় সকল যাত্রা, সমাবেশেই ধারালো অস্ত্র বহন করতে দেখা যায়। বিভিন্ন সময় সেসব অস্ত্র দিয়ে মুসলিমদের উপর আক্রমণ ও ভয়ভীতি দেখানোর ঘটনাও অহরহ ঘটছে।
তথ্যসূত্র:
——–
1. VHP Leader Promises Free ‘Licensed’ Swords, Sticks and Knives After Training ( The Wire )
– https://tinyurl.com/27khpcdu
– https://tinyurl.com/49jxnrte
allah muslimderke ek potakar niche shomabeto tawfik dan korun
ameen
allah gay pujariderke protihoto korar shokti dan korun musolmanderke
ameen