বুরকিনা ফাসোতে আল-কায়েদার হামলায় পর্যুদস্ত তাগুতের বাহিনী

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে দ্বীন কায়েমের অন্তরায় সরকারি বাহিনীর উপর হামলা অব্যাহত রেখেছেন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। সম্প্রতি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের দ্বারা পরিচালিত এমন ২টি হামলায় অসংখ্য সৈন্য হতাহত এবং অভিযান শেষে মুজাহিদগণ প্রচুর সংখ্যক গনিমত লাভ করেন।

আঞ্চলিক সূত্র থেকে জানা যায়, গত ৭ই ডিসেম্বর বুরকিনা ফাসোর নামেনতেংগা প্রদেশের বোয়ালা অঞ্চলে বড় পরিসরে একটি সফল হামলা চালান জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন-এর বীর মুজাহিদগণ।

‘জেএনআইএম’-এর বীর মুজাহিদদের এই হামলার লক্ষবস্তুতে পরিণত হয় বুরকিনান সরকারের সহযোগী ভিডিপি বাহিনীর একটি সামরিক কাফেলা। যেখানে মুজাহিদদের পরিকল্পিত এবং চতুর্মুখী আক্রমণে ‘ভিডিপি’ সদস্যরা দিশেহারা হয়ে যায়।

এই অভিযানে মুজাহিদগণ অন্তত দশ ভিডিপি মিলিশিয়াকে হত্যা করেন। এবং অন্যদের আহত করেন, যারা পরবর্তিতে সামরিক সরঞ্জাম ফেলেই পালিয়ে যায়। সামরিক বাহিনীর পলায়নের পর মুজাহিদগণ ঘটনাস্থল থেকে ২৮টি মোটরবাইক, ক্লাশিনকোভ, ম্যাগাজিন, সেলফোন, ফ্ল্যাশলাইট সহ বিপুল পরিমাণ যুদ্ধ সরঞ্জাম এবং গোলাবারুদ গণিমত হিসেবে লাভ করেন- আলহামদুলিল্লাহ।

গণিমতের বিশাল পরিমাণ দেখে অনেক পশ্চিমা সমর্থক বিশ্লেষক আক্ষেপ করে টুইট বার্তায় বলেছে, “The VDP’s could be the future supply reservoir for JNIM in arms & ammunition” – অর্থাৎ ভিডিপি বাহিনী ভবিষ্যতে মুজাহিদদের অস্ত্র ও গোলাবারুদের সরবরাহের ভান্ডার হয়ে যাবে। কেননা সরকার কর্তৃক নামেমাত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে নামানো এসব বাহিনী কার্যত মুজাহিদদের সাপ্লাই লাইন হিসেবেই কাজ করছে, আলহামদুলিল্লাহ।

এদিকে জেএনআইএম এর হামলার পরিসংখ্যান নিয়ে প্রকাশিত সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বুরকিনা ফাসোর নাংইয়া প্রদেশের নাগারে গ্রামের প্রধানকে গুপ্তচরবৃত্তির কারণে হত্যা করেছেন মুজাহিদগণ। মুজাহিদদের স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস করার কারণে তাকে গোরমা প্রদেশের ফাদা শহরে মুজাহিদগণ হত্যা করেন বলে জানানো হয়।

বুরকিনা ফাসোর সীমানার ভিতরে দ্বীন কায়েমের তৎপর আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জেএনআইএম’-এর মুজাহিদিন। যারা সম্প্রতি পুরো বুরকিনা ফাসোতে তাদের অভিযান ও উপস্থিতি বাড়িয়েছেন। যা মুমিনদের অন্তরের প্রশান্তি সৃষ্টি করছে, আর ইসলাম ও মুসলিমদের শত্রুদের অন্তরকে ঝালিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে- আলহামদুলিল্লাহ!