মুসলিমদের গলা কেটে ও গুপ্ত হত্যা চালিয়ে হত্যার আহ্বান উগ্র হিন্দু নেত্রীর

উসামা মাহমুদ

2
527

হিন্দুত্ববাদী ভারতে ঘনীভূত হচ্ছে মুসলিম গণহত্যার ঘনঘটা। গণহত্যা শুরু করতে যেন তর সইছে না উগ্র হিন্দুদের। একের পর এক উগ্র হিন্দু নেতা-নেত্রী, ধর্মগুরুরা প্রকাশ্যে মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালানোর আহ্বান জানাচ্ছে।

এবার ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ধানবাদের কাটরাসে হিন্দুত্ববাদী বজরং দলের অনুষ্ঠানে হিন্দুত্ববাদী উগ্র নেত্রী বাল বিদিশা লাডলি শরণ একটি ঘৃণাত্মক মুসলিম বিদ্বেষী বক্তৃতা দিয়েছে। সে গুজরাটে ২০০২-এর গণহত্যার উল্লেখ করে আবারো মুসলিমদের “গলা কেটে দিতে” এবং “চোরাপথে হত্যা করতে”(গুপ্তহত্যা চালাতে) আহ্বান জানিয়েছে।

এর আগে গত ২৫ নভেম্বর শুক্রবার, ২০০২ সালের গুজরাট মুসলিম গণহত্যার কথা তুলে ধরে একটি কটাক্ষমূলক বক্তৃতা দিয়েছিল হিন্দুত্ববাদী ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সে বলেছে, ২০০২ সালে মুসলিমদের “উচিত শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল।” ফলে তারা মাথা উচু করার মত কার্যকলাপ বন্ধ করে দিয়েছে।

গত ২২ ডিসেম্বর ২০২১ সালে, উগ্র হিন্দুত্ববাদী পুরোহিত স্বামী প্রবোধানন্দ প্রত্যেক হিন্দুকে অস্ত্র তুলে নিতে এবং মিয়ানমারের মতো ক্লিনজিং অপারেশন (জাতিগত নির্মূল) শুরু করতে বলেছে।

সে হিন্দুত্ববাদী জনতার উদ্দেশ্যে বলছে, সকল হিন্দুকে অস্ত্র কিনতে হবে। মুসলিমদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের মতো জাতিগত নির্মূল অভিযান চালাতে হবে। মুসলিমদের মারতে হবে। এছাড়া বিকল্প কোন পথ নাই। সে সামরিক বেসামরিক সকল হিন্দুকে মুসলিম গণহত্যায় অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানায়।

হিন্দুত্ববাদী এই উগ্র নেতা প্রকাশ্যে তার অনুসারীদেরকে বলেছিল- “কুরআন বুঝে” এমন প্রত্যেক মুসলিমকে হত্যা করতে হবে। সে আরো বলেছিল, “প্রত্যেক হিন্দুর উচিত বাড়িতে অস্ত্র রাখা। আপনি যখন তা করবেন, আপনি রাম এবং কৃষ্ণের আশীর্বাদ পাবেন। ’জিহাদিদের’ বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে আপনাদের এখন অস্ত্র দরকার।”

ভারতের কথিত বিচার ব্যাবস্থা যদি তাদের বিরুদ্ধে সঠিক কোনো ব্যবস্থা নিত, তাহলে কখনোই তারা অন্যদের গণহত্যা চালাতে উৎসাহ দিতে সাহস করতো না বলেই মনে করেন বিশ্লেষকগণ। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী বিচার ব্যাবস্থা কখনোই তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মুসলিমদের পক্ষে কথা বলেনি, বলবেও না। এটাই ভারতীয় উপমহাদেশের বাস্তবতা।

হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের শীর্ষ নেতারা প্রকাশ্য দিবালোকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে এমন অর্থনৈতিক বয়কট ও গণহত্যার আহ্বান করলেও, দালাল মিডিয়াগুলো এব্যাপারে কথা বলেনি।

বেশ কয়েক বছর ধরে চলমান উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের আগ্রাসী অত্যাচার এবং কথিত প্রশাসনের নীরব ভূমিকা গোটা উপমহাদেশে হিন্দুত্ববাদের উগ্র অভ্যুত্থানকে ত্বরান্বিত করেছে; যা ক্রমেই এখন চূড়ান্ত মুসলিম গণহত্যায় রূপলাভ করছে। এটাও স্পষ্ট যে, প্রচলিত কোন আইন-আদালত বা পশ্চিমা গণতন্ত্রের ধ্বজাধারীরা কেউই মুসলিমদের রক্ষায় এগিয়ে আসবেনা।

হক্কপন্থী উলামাগণও তাই বরাবরই মুসলিমদেরকে পরিস্থিতির নাজুকতা উপলব্ধি করতে এবং সেই অনুযায়ী নিজ ও পরিবারের জান-মাল-ইজ্জত-আব্রুর হেফাজতের প্রস্তুতি নিতে বলে আসছেন, নববী মানহাজ অনুযায়ী।



তথ্যসূত্র:
——–
1. At Bajrang Dal event, Hindu extremist leader Baal Vidisha Ladli Sharan delivered a hate speech. She made reference to Gujarat 2002, called for “cutting throats” & “kill!ng people at crossroads.
https://tinyurl.com/4syurr9j
2. Swami Prabodhanand calls on Hindus to buy weapons
https://tinyurl.com/uuzyz6a5
3. Clean India of Jihadis, Whoever Understands Quran is One’: UP Hate Speech Event
https://tinyurl.com/yckmb3zu
4. ‘Weapons Will Be Needed in Future’: BJP Leader Sangeet Som Issues Call to Arms (The Wire)
https://tinyurl.com/2h3whs5m
5. “They were taught lesson in 2002,” Amit Shah brings up Gujarat Muslim genocide in campaign
https://tinyurl.com/mv6bs66k

2 মন্তব্যসমূহ

    • ভাই,
      আপনি বোঝাতে চেয়েছেন! একটু স্পষ্ট করে দিবেন?
      মুহতারাম উসামা মাহমুদ ভাই
      বোঝাতে চেয়েছেন নববী মানহাজ,
      ইদাদ,ক্বিতাল,
      হক্বপন্থি আলেমগন ময়দানেই থাকেন।কেউ দাওয়া বিভাগে,কেউ আসকারী বিভাগে,কেউ অন্যান্য বিভাগে।
      আল্লাহ সব ভাইকে হিফাজত করুন।
      (আমিন)

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধওরা চায় না ফারদিন হত্যার রহস্য উন্মোচিত হোক!
পরবর্তী নিবন্ধভারতে হিন্দু উগ্রবাদীদের ব্যাপক মারধরের শিকার তিন মুসলিম ব্যক্তি