ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবস্থিত হেবরন শহরে সামরিক চেকপোস্টগুলোতে ফিলিস্তিনিদের নানাভাবে হেনস্থা করছে দখলদার ইসরাইল। জিজ্ঞাসাবাদ ও পরীক্ষা করার অযুহাতে পুরুষদের পাশাপাশি নারী ও শিশুদেরকেও ছাড় দেয়া হচ্ছে না। এমনকি চেকপয়েন্টে ফিলিস্তিনিদের কাপড় খুলতেও বাধ্য করছে সন্ত্রাসী ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
সম্প্রতি মিডিল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভয়ংকর এ তথ্য। স্থানীয়দের বরাতে বলা হয়, হেবরনে অবস্থিত ইসরাইলি চেকপোস্ট তেল রুমেদায় সকল ফিলিস্তিনিকে কাপড় খুলতে বাধ্য করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে আবু ইশা নামক এক ফিলিস্তিনি জানায়, “প্রতিদিন সন্ধ্যায় হয়রানি বেড়ে যায়। আমরা ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেছি। চেকপোস্টের সামনে আমরা বিক্ষোভ করেছি, কিন্তু ইসরাইলিদের কার্যক্রমে কোন পরিবর্তন ঘটেনি। আমরা অনুভব করি যে আমরা একা। কিন্তু এই দখলদারদের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই চালিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ্।”
শুধু মাত্র হেবরন শহরেই নয়। গোটা পশ্চিম তীরের প্রতিটি এলাকায়, প্রতিটি রাস্তার মোড়ে গড়ে তোলা হয়েছে এসব ইসরাইলি সামরিক চেকপোস্ট। ২০১১ সালের জাতিসংঘের তথ্য মতেই পশ্চিম তীরে ৫২২টি চেকপোস্ট ছিল দখলদার ইসরাইলের।
ফলে, অবরুদ্ধ গাযা উপত্যকার মতো পশ্চিম তীরও এক প্রকার অবরুদ্ধই হয়ে আছে। এক শহর থেকে অন্য শহরে প্রবেশ করতে হলে ফিলিস্তিনিদেরকে বাধ্যতামূলক ইসরাইলি চেকপোস্টের মুখোমুখি হতে হয়। আর এ সময় ফিলিস্তিনিদের নানাভাবে হয়রানি করে সন্ত্রাসী ইসরাইলি সেনাবাহিনী। তাছাড়া প্রতিনিয়তই মুসলিম যুবক ও কিশোরদের গুলি করে খুন করা হচ্ছে এসব চেকপয়েন্টে। এমনকি বৃদ্ধা নারীদেরকেও গুলি করে খুন করা হচ্ছে এসব চেক পয়েন্টে।
দখলদার ইহুদি জাতি মুসলিমদের ওপর এমন নির্যাতন চালানোর পরও দালাল জাতিসংঘ ও পশ্চিমারা একতরফাভাবে জায়নবাদী ইসরাইলকেই সমর্থন ও সামরিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে গাদ্দার আরব শাসকগোষ্ঠী ফিলিস্তিনিদের সাহায্যের বদলে ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তথ্যসূত্র:
১। Israel officers force Palestinians to strip at Hebron checkpoints – https://tinyurl.com/nhepanwr
২। Israeli checkpoint – https://tinyurl.com/5eexs3vs