উগ্র ‘হিন্দু সেনা’র অভিযোগে মথুরার শাহী ঈদগাহ মসজিদ জরিপের নির্দেশ

মাহমুদ উল্লাহ

0
426

উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ‘হিন্দু সেনা’র দায়ের করা মামলায় মথুরার শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির সংলগ্ন শাহী ঈদগাহ মসজিদ জরিপের নির্দেশ দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী উত্তরপ্রদেশ আদালত। অতিরিক্ত সিভিল জজ আদালত আমীন (আদালত স্টাফ) দ্বারা মসজিদটি জরিপ করার আদেশ দিয়েছে।

মথুরা আদালতে শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি ইস্যুতে একটি নতুন পিটিশন দাখিল করা হলে ৮ ডিসেম্বর এ আদেশ দেওয়া হয়। পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয় ২০ জানুয়ারী, ২০২৩।

শাহী ইদগাহ প্রাঙ্গণ দখল এবং সেখানে অবস্থিত বর্তমান কাঠামো ভেঙে ফেলার দাবিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় হিন্দু সেনার জাতীয় সভাপতি (অ্যাডভোকেট শৈলেশ দুবের মাধ্যমে) বিষ্ণু গুপ্তের দায়ের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে রায় দেওয়ার সময় এই আদেশ দেয় উগ্র সিভিল জজ সোনিকা ভার্মা।

মামলার বাদী গুপ্তার দাবি, শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানে ১৩.৩৭ একর জমিতে আওরঙ্গজেব শ্রী কৃষ্ণ মন্দির ভেঙ্গে ইদগাহ নির্মাণ করেছিল। যদিও এ দাবিরপক্ষে সে কোন তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেনি।

এদিকে, কেরালার কান্নুর জেলার ইরিটিতে আরেক উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের সদস্যরা একটি মিছিল বের করে। মিছিল থেকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক স্লোগান দেয়া হয় –  “অযোধ্যার রাজপথে আমরাই, যারা বাবরি ভেঙ্গেছি।”

১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদকে শহীদ করে দেয় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। এরপর ২০১৯ সালে হিন্দুত্ববাদী সুপ্রিম কোর্ট সেই জমিতে রাম মন্দির নির্মাণ করার অনুমতি দেয়। এরপর থেকেই হিন্দুত্ববাদী দলগুলি ভারতের বিভিন্ন ঐতিহাসিক মসজিদের জায়গাগুলোকে নিজেদের দাবি করে আসছে। মসজিদের জায়গাগুলোকে হিন্দুদের তীর্থস্থান হিসাবে দাবি করছে।

বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী শক্তি ক্রমাগত স্লোগান দিচ্ছে – “অযোধ্যা তো সিরফ ঝাকি হ্যায়, কাশী মথুরা বাকি হ্যায়”। এর অর্থ হচ্ছে – “অযোধ্যা তো নিছক সূচনামাত্র, কাশী এবং মথুরা এখনও বাকি আছে”। একইভাবে বেনারসের জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং মথুরার শাহী ঈগাহকেও তারা দখলের পায়তারা করছে।

তথ্যসূত্র:

১। UP court orders survey of Shahi Eidgah Mosque in suit filed by Hindu Sena – https://bit.ly/3Wm9I0P

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধফিলিস্তিনিদের কাপড় খুলে চেক করছে সন্ত্রাসী ইসরাইলি বাহিনী
পরবর্তী নিবন্ধভিক্ষাবৃত্তি দূরীকরণে তালিবানের আন্তরিক পদক্ষেপ