মধ্য সোমালিয়ায় শাবাবের অভিযান, হতাহত কমপক্ষে ১৬৮

- নজরুল ইসলাম

0
497
সোমালি সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ছেন একজন শাবাব যোদ্ধা

সোমালিয়ার মুদুগ রাজ্যের ওয়াসিল শহরের উপকণ্ঠে সরকারী মিলিশিয়াদের একটি আক্রমণ প্রতিহত করেছেন হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। শাবাব যোদ্ধাদের প্রতিরোধমূলক অভিযানে সরকারি মিলিশিয়া বাহিনীর কমপক্ষে ১৬৮ জন সদস্য হতাহত হয়েছে বলে একটি বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছেন আশ-শাবাবের সামরিক নেতৃত্ব। গত ১৮ রবিউল আউয়াল মোতাবেক ৪ অক্টোবর বুধবার শাবাব প্রতিরোধ যোদ্ধা এবং পশ্চিমা সমর্থিত সরকারি মিলিশিয়াদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি সংঘটিত হয়।

ঘটনার পরদিন ৫ সেপ্টেম্বর তারিখে ঘটনা সম্পর্কে শাবাব নেতৃত্বের দেওয়া বিবৃতিটি আরবি ভাষায় প্রকাশ করেছে আশ-শাবাব সংশ্লিষ্ট শাহাদাহ নিউজ এজেন্সির অফিসিয়াল সাইট।

হামলার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আজ বুধবার মুজাহিদরা ইসলামি শরিয়া কায়েমে তাদের যুদ্ধে মধ্য সোমালিয়ার মাদাক রাজ্যের গাদায়ে এলাকায় ক্রুসেডারদের এজেন্ট ধর্মত্যাগী মিলিশিয়াদের দ্বারা শুরু করা আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছেন। রাজ্যের ওয়াসিল শহরের উপকণ্ঠে বাদুইন এবং ওয়াসেল শহরের মধ্যবর্তী গাদায়ে এলাকায় তীব্র সংঘর্ষ সংঘটিত হয়। মুজাহিদরা তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকার নিরাপত্তা বাধাগ্রস্ত করার মিলিশিয়াদের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করতে সক্ষম হয়েছেন।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “মুজাহিদগণ পূর্ব থেকেই ধর্মত্যাগীদের গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলেন। কয়েক ঘন্টা ধরে চলা সংঘর্ষের ধর্মত্যাগীরা জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি শিকার করে এবং পরাজয় বরণ করে। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের জবাবী আক্রমণে ৯৭ জন ধর্মত্যাগী নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে, আর অন্যান্যদের মধ্যে জন আহত হয়েছে তাদের আরও ৭১ জন।”

“ওয়াসেল শহরের উপকণ্ঠে আজকে মিলিশিয়ারা যে অভিযান শুরু করেছিল, তাতে তাদের নেতা কর্নেল আলী নাসের আবদি ফারাহ পর্যন্ত নিহত হয়েছে। যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে মিলিশিয়ারা যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে যায়, আর ফেলে রেখে যায় কয়েক ডজন ধর্মত্যাগী সেনার লাশ।”

“আজকের সংঘর্ষে নিহত ও আহত অফিসারদের মধ্যে নিহতদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- অভিযানের কমান্ডার-ইন-চিফ কর্নেল আলী নাসের আবদি ফারাহ এবং গালকায়ো সিটি প্রশাসনের সচিব মো। আর আহতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলো হলো সোমালি সেনাবাহিনীর ২১ তম কর্পসের কমান্ডার জেনারেল আবদি সালাদ, ২১ তম সেনা কোরের ১৩ তম ব্রিগেডের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল অনু বোরি এবং মুদুগ অঞ্চলের কাবুর মিলিশিয়াদের কমান্ডার আব্দুল মানান।”

শাবাবের ইদানিংকালের অভিযানগুলোতে দেখা যাচ্ছে যে, প্রতিনিয়তই শত্রুদের অনেক উচ্চপর্যায়ের সামরিক অফিসার নিহত হচ্ছে। সামরিক দিক বিবেচনায় বলা যায়, এই বিষয়টি সক্ষমতা ও মনোবলের দিক থেকে একটি বাহিনীর দ্রুত পতন ডেকে আনে।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধসেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে কেমন ছিলেন ভারতের মুসলিমরা?
পরবর্তী নিবন্ধইনফোগ্রাফি || সেপ্টেম্বরে টিটিপির ১০৬ অভিযান, হতাহত ২৯২ পাকসেনা