ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান ৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ৫৩টি খনি নিষ্কাশনের চুক্তি করেছেন। দেশী ও বিদেশী কোম্পানিগুলোর সাথে এই চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে বলে জানা যায়।
খনি ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, লোহা, সীসা এবং অন্যান্য মূল্যবান পাথরের খনিজ উত্তোলনের ক্ষেত্রে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুমায়ুন আফগান বলেছেন, “বড় ধরনের নয়টি খনি এবং ৪৪টি ছোট খনির চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। বড় খনিগুলোর ক্ষেত্রে দেশীয় ও বিদেশী কোম্পানিকে মিলিতভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং ছোট খনিগুলো কেবল দেশীয় কোম্পানিগুলোকে দেওয়া হয়েছে।”
এই চুক্তিগুলোর ক্ষেত্রে ইমারতে ইসলামিয়ার খনি ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয় কাঁচামাল প্রক্রিয়াজাতকরণ কার্যক্রম আফগানিস্তানের ভেতরে সম্পন্ন করার শর্ত প্রদান করেছেন। হুমায়ুন আফগান বলেন, “কোনোভাবেই প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য দেশ থেকে কাঁচামাল রপ্তানি করা যাবে না।”
কাঁচামাল দেশে প্রক্রিয়াজাতকরণের উপর ইমারতে ইসলামিয়া সরকার গুরুত্বারোপ করছেন। কারণ, এতে দেশে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের পথ খুলে যাবে, অর্থনীতি উন্নত হবে।
খনি ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী বলেন, “সকল খনি নিষ্কাশন সম্পূর্ণ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হবে এবং কোনো খনিই অবৈধভাবে নিষ্কাশন করা যাবে না।”
খনি আফগানিস্তানের অর্থনীতির একটি মূল্যবান উৎস। আফগানিস্তানে স্বর্ণ, ইউরেনিয়াম, সীসা, কয়লা ইত্যাদি বেশ কিছু মূল্যবান ধাতুর খনি রয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বলে অনুমান করা হয়। এই ৫৩টি খনি উত্তোলনের জন্য বিভিন্ন কোম্পানির সাথে চুক্তি সম্পাদন করার ক্ষেত্রে ইমারতে ইসলামিয়া সরকার দেশীয় কোম্পানিগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আবার খনি উত্তোলনের পর কাঁচামালও যেন আফগানিস্তানের ভেতরেই প্রক্রিয়াজাত করা হয়, সেই বিষয়েও চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে দিয়েছেন তাঁরা। এভাবে আফগানিস্তানকে স্বনির্ভর দেশ হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের আন্তরিক চেষ্টা করে যাচ্ছেন ইমারতে ইসলামিয়া সরকার।
তথ্যসূত্র:
1. Ministry: Contracts for 53 Mines Signed in 1402
– https://tinyurl.com/y693a9e4