ইসরায়েল গাজায় জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় সেখানকার হাসপাতালগুলোর ইনকিউবেটরে থাকা শতাধিক শিশুর জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ বিষয়ে সতর্ক করেছে ইউনিসেফ। সংস্থাটির মুখপাত্র জোনাথন ক্রিকক্স বলেছে, বর্তমানে ইনকিউবেটরে ১২০ জন নবজাতক রয়েছে, এদের মধ্যে ৭০ নবজাতকের যান্ত্রিক শ্বাসযন্ত্র প্রয়োজন।
ইসরায়েলি হামলা ও জ্বালানি সংকটের কারণে ইতোমধ্যেই ১২টি হাসপাতাল ও ৩২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে হাসপাতালগুলোকে টার্গেট করে চলছে ইসরায়েলি হামলা। ফলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি হতাহত হচ্ছেন চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৫৭ চিকিৎসক নিহত ও ১০০ জন স্বাস্থ্যকর্মী আহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৫,০৮৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২,০৫৫ শিশু এবং ১,১১৯ জন নারী। আহত হয়েছেন ৫ হাজারের বেশি মুসলিম, যাদেরকে জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রীর অভাব রয়েছে। জ্বালানির চরম সংকটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় আরও অসুবিধার মুখে পরেছে হাসপাতালগুলো।
গত ১৭ অক্টোবর রাতে গাজার আল-আল-আহলি হাসপাতালে ভয়াবহ বোমা চালায় ইসরায়েল। এতে প্রায় ৫০০ মানুষ নিহত হয়, আহত হয় আরও বহু মানুষ। এছাড়া বহু মানুষ হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গাজার আল-কুদস হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের এ ধরনের অমানবিক নির্দেশকে রোগীদের জন্য মৃত্যুদণ্ডাদেশ বলে মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট।
গত ২১ অক্টোবর অল্প কিছু ত্রাণ পৌঁছলেও ইসরায়েলের বাধায় এই ত্রান সহায়তার মধ্যে কোনো জ্বালানি ছিল না। অথচ হাসপাতালগুলো সচল রাখতে এ জ্বালানি খুবই অপরিহার্য ছিল। এই অবস্থায় হাসপাতালগুলোর ইনকিউবেটরে থাকা শিশুরা চরম ঝুঁকিতে রয়েছে, বাধাগ্রস্ত হচ্ছে অন্যান্য চিকিৎসাও।
তথ্যসূত্র:
1. Over 100 incubator babies at risk due to Israel’s fuel cuts to Gaza: UN
– https://tinyurl.com/4vjafz2s
2. LIVE updates
– https://tinyurl.com/s948bn2r