• ফিলিস্তিনের উত্তর গাজার আল-শিফা হাসপাতালে অভিযান শুরু করেছে সন্ত্রাসী দখলদার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুনির আল-বুরশ আল-জাজিরাকে জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী বুধবার ভোরে (১৫ নভেম্বর) আল-শিফা হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি শুরু করেছে। এ অবস্থায় আল-শিফার ভিতরে অবস্থানরত রোগী, বাস্তুচ্যুত মানুষ এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
• আল-শিফা হাসপাতালের এক ডাক্তার জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালের চারপাশে অবিরাম গুলি ও বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালে অবস্থানরত রোগী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জোরপূর্বক হাসপাতালের হল রুমে যেতে বাধ্য করছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাসপাতালটি এখন মৃত্যু মুখে রয়েছে।
• বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গাজায় জাতিসংঘের ট্রাকের জন্য জ্বালানি তেল সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে সন্ত্রাসী ইসরাইল। তবে, ইসরায়েল, জাতিসংঘ এবং হামাস কেউই এ বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। যদি সত্য হয়, তাহলে এটিই হবে ৭ অক্টোবরের পর গাজায় প্রথম জ্বালানী সরবরাহ।
• আল-শিফা হাসপাতালে লাইফ-সাপোর্ট ছাড়াই অপরিণত নবজাতক শিশুদের উষ্ণ রাখতে ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে রাখা হচ্ছে। ফলে রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। কিন্তু অবরোধ আর যুদ্ধের কারণে রোগীদের স্থানান্তর করা যাচ্ছে না।
• এমএসএফ(MSF) বলেছে যে ১৫ জন চিকিৎসা কর্মীকে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই এটিই গাজায় চিকিৎসা কর্মীদের প্রবেশের অনুমোদন। তবে, জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, ইতোমধ্যেই গাজার অর্ধেকেরও বেশি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে।
• ইসরায়েল বলেছে যে তারা আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। যুদ্ধের আগে এখানে অন্তত ৯০,০০০ এর বেশি বাসিন্দা ছিল।
• অ্যামেরিকার ওয়াশিংটন ডিসিতে সন্ত্রাসী ইসরায়েলের সমর্থনে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছে। তারা গাজায় যুদ্ধ বিরতির বিরোধিতা করছে।
• ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে পাল্টাপাল্টি যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে।
• পশ্চিম তীরে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। তুলকারেম শরণার্থী শিবিরে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি অভিযানে অন্তত সাত ফিলিস্তিনি নিহত এবং পাঁচটি বাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
• সন্ত্রাসী ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১১,৪৫১ জন, যার মধ্যে ৪,৬৩০ শিশু ও ৩,১৩০ জন নারী। আহত হয়েছেন ৩১,৭০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি। দখলীকৃত পশ্চিম তীরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ২,৭০০ জন ফিলিস্তিনি। হাসপাতালগুলোতে সন্ত্রাসী ইসরায়েলের হামলা ও অপারেশনের কারণে যথাযথেভাবে এই সংখ্যা জানা এখন দুরূহ হয়ে পড়েছে।