মার্কিন বন্দী ওয়ারেন ওয়েইনস্টেনকে নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ

- ত্বহা আলী আদনান

2
804

মার্কিন নাগরিক ওয়ারেন ওয়েইনস্টেনকে (ইসহাক) নিয়ে প্রথমবারের মতো ৩৫ পৃষ্ঠার একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশ করেছে আল-কায়েদা। এতে উঠে আসে গ্রেপ্তার থেকে তার ইসলাম গ্রহণ ও মার্কিন হামলায় তার শাহাদাতের সংক্ষিপ্ত বিবরণ।

অনুসন্ধানী এই প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছেন শহিদ কমান্ডার নাঈম নূর খান (রহ)। তিনি পাকিস্তানে আল-কায়েদা উপমহাদেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং প্রতিরোধ বাহিনীটির উপমহাদেশের সিনিয়র কমান্ডার ছিলেন। তিনি পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানে আল-কায়েদা মুজাহিদদের নেতৃত্ব দেন এবং মার্কিন সরবরাহ কনভয়গুলোকে টার্গেট করতে থাকেন। কমান্ডার নাঈম নূর খান ২০২০ সালে আফগানিস্তানের গজনি প্রদেশে দখলদার মার্কিন বাহিনীর এক হামলায় শাহাদাত বরণ করেন (ইনশাআল্লাহ)।

২০১১ সালের আগস্টে পাকিস্তানের লাহোর থেকে গুরত্বপূর্ণ মার্কিন নাগরিক ওয়েনস্টেইনকে গ্রেপ্তার করেন আল-কায়েদা যোদ্ধারা। অতঃপর তার বিনিময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ড. আফিয়া সিদ্দিকীর মুক্তি দাবি করেন মুজাহিদগণ। আমেরিকার সাথে মুজাহিদদের এই বিনিময় চুক্তি যখন অনেকটাই সফলতার পথে, তখন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর এতে হস্তক্ষেপ করে। ফলে আটকে যায় আফিয়া সিদ্দিকীর মুক্ত আকাশে ফিরে আসার কার্যকরী প্রচেষ্টা।

কমান্ডার নাঈম নূর খান দীর্ঘ একটি সময় অতিবাহিত করেন মার্কিন নাগরিক ওয়েইনস্টেইনের সাথে। আর মুজাহিদদের হাতে বন্দী থাকা অবস্থায় ইসলামের সৌন্দর্য ও মুজাহিদদের উত্তম আখলাক দেখে তিনি মুগ্ধ হতে থাকেন, পরে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে প্রবেশ করেন। তখন তার নতুন নাম দেওয়া হয় ইসহাক। মুজাহিদরা তখন তাকে চাচা ইসহাক বলে ডাকতেন।

তাঁর ইসলাম গ্রহণের পর কমান্ডার নাঈম (রহ) তাঁর থেকে বেশ কিছু সাক্ষাতকার নেন। পরে আল-কায়েদা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনুমতিতে এবং ইসহাক রহ-এর দেওয়া বিবরণের উপর ভিত্তি করে একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রস্তুত করেন কমান্ডার নাঈম (রহ)। সম্প্রতি ওয়েইনস্টেইনের (ইসহাক) উপর তৈরি উক্ত প্রতিবেদনটি আল কায়েদার কেন্দ্রীয় মিডিয়া- আস-সাহাব মিডিয়া থেকে আরবি ও ইংরেজি ভাষায় প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওয়েইনস্টেইন ছিলেন ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্টের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা। তাকে মার্কিন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সরাসরি অনেক কাজে নিযুক্ত করা হয়েছিল, আর সেই সুবাদে এই অঞ্চলেও তিনি নিযুক্ত হন। পরে মুজাহিদের হাতে বন্দী হন এবং ইসলাম গ্রহণ করেন। অতঃপর ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারী রাতে মুজাহিদদের একটি অবস্থানে ড্রোন হামলা চালায় দখলদার মার্কিন বাহিনী। উক্ত অবস্থানে চাচা ইসহাক এবং ইতালির একজন নাগরিক (যিনি ইসলাম গ্রহণের মাধ্যমে মুহাম্মদ নাম ধারন করেছিলেন) সহ কয়েকজন নওমুসলিমের সাথে সাক্ষাত করতে একত্রিত হয়েছিলেন উস্তাদ আহমদ ফারুক (রহ) সহ কয়েকজন মুজাহিদ। আর তাদের উপস্থিতিতেই সেখানে ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়, ফলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সকলে শাহাদাত বরণ করেন (ইনশাআল্লাহ)।

সকালে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা এসে শহীদদের মধ্যে দেখতে পান একজন বৃদ্ধের মুখ আলোয় ঝলমল করছে এবং তার শরীর থেকে কস্তুরির ঘ্রাণ বের হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তখন গুজব রটে যে, শাইখ আয়মান আল-জাওয়াহিরি হচ্ছেন বৃদ্ধ লোকটি। পরবর্তীতে মুজাহিদগণ নিশ্চিত হন সেই বৃদ্ধ ও উজ্জ্বল মুখের অধিকারী ছিলেন চাচা ইসহাক (রহ)।

উল্লেখ্য যে, ড. আফিয়া সিদ্দিকীর মুক্তি ঠেকাতে, এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থা ও সামরিক বাহিনী। আর তাদের কারচুপি পূর্ণ ইনফরমেশনের ভিত্তিতে মার্কিন বাহিনীর ড্রোন হামলায় তা সমাপ্ত হয়। কেননা চাচা ইসহাকের তথ্য গোপন করেছিল পাকিস্তান।



 

মার্কিন নাগরিক ওয়ারেন ওয়েইনস্টেনকে (ইসহাক) নিয়ে নির্মিত ৩৫ পৃষ্ঠার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটির ইংরেজি ও আরবি লিংক:

 

📜 English Version (11.02 MB)

https://archive.gnews.to/index.php/s/47QsTxF2dcw8xTs
https://www.mediafire.com/file/aed0875nvt44a0z/
https://drive.google.com/file/d/1sHfRRc-zny79ApeufxcP3h6gj2d7Ho9i/view?usp=sharing
https://files.fm/f/qb2x5jtrg2
https://1fichier.com/?tuh7nnbphhb33lxukqko
https://ufile.io/cypj53at
https://www.sendspace.com/file/94dmmq
https://trbbt.net/qojho484xrtq.html

PDF (12 MB)|روابط النسخة العربية:

https://archive.gnews.to/index.php/s/QMtkFG9D2RCwcky
https://www.mediafire.com/file/1ibm9bfzjhs8gja/
https://drive.google.com/file/d/1fiWAWU2wv7WNV2rUJnrqBqkIl_Y9OdTK/view?usp=sharing
https://files.fm/f/b32644kqh5
https://1fichier.com/?qdaxhcyiqeqwujdy3n38
https://ufile.io/t6sslvo4
https://www.sendspace.com/file/txn32g
https://trbbt.net/lgydpcj03dsp.html

2 মন্তব্যসমূহ

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধইসলামি শরিয়াহ আইন ও দণ্ডবিধির বাস্তবায়ন: সামাজিক স্থিতিশীলতার একমাত্র পথ
পরবর্তী নিবন্ধফিলিস্তিনের জিহাদ || আপডেট – ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪