ফিলিস্তিনের জিহাদ || আপডেট – ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

- সাইফুল ইসলাম

0
212

সোমবার রাতে রাফাহ এর মিরাজ এলাকায় জায়োনিস্ট বাহিনীর হামলায় অন্তত ২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই পরিবারেরই রয়েছেন ১১ জন। গাজায় দখলদার ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২৪,১০০ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন ৬০ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি।

উত্তর ইরাকের কুর্দিশ এলাকার ইরবিলে একটি মোসাদ হেডকোয়ার্টার ধ্বংস করার দাবি করেছে ইরানের রেভুল্যুশনারি গার্ড।

ইয়েমেনের অদূরে এডেন উপসাগরে মার্কিন মালিকাধীন একটি জাহাজে মিসাইল হামলা করেছে হুথিরা। এতে জাহাজটি ‘হালকা ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার পর দক্ষিণ লোহিত সাগরে ট্রানজিট করার ব্যাপারে জাহাজগুলোকে সতর্ক করেছে।

মিশর সীমান্তে মিশর থেকে আসা এক বন্দুকধারীর গুলিতে এক জায়োনিস্ট সৈন্য আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।

জায়োনিস্ট ইসরায়েল তাদের ৩৬তম ডিভিশন সৈন্য গাজা থেকে প্রত্যাহার করেছে। ৪ ডিভিশন জায়োনিস্ট সৈন্য গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছিল। এখন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে তীব্র মার খেয়ে এক ডিভিশন সৈন্য প্রত্যাহার করেছে ইহুদি বাহিনী। তাদেরকে পশ্চিম তীরে বা লেবানন সীমান্তে পাঠানো হতে পারে। উল্লেখ্য, এর আগে ইসরায়েলের সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনী গোলানি ব্রিগেডও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মার খেয়ে গাজা থেকে চলে গিয়েছিল। ইসরায়েলের অনেক সৈন্য যুদ্ধের ভয়ে মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলেও ইসরায়েলি মিডিয়াগুলো জানিয়েছে। তারা যুদ্ধের ময়দানে যেতে চাচ্ছে না। কিন্তু বর্তমানে যুদ্ধ গাজা থেকে ছড়িয়ে পশ্চিম তীর ও লেবানন সীমান্তে বিস্তৃত হতে শুরু করায় জায়োনিস্ট সৈন্যদের আর রক্ষা হচ্ছে না।

আল-কাসসাম ব্রিগেড একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। যেখানে তিন ইসরায়েলি বন্দীদের সাক্ষাতকারের দৃশ্য দেখানো হয়। ইসরায়েলি বন্দীদের একজন জানায়, তিন ইসরায়েলি বন্দীর দুইজন জায়োনিস্ট ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছে। এর আগেও ইসরায়েলি বন্দীদেরকেই হত্যা করেছিল জায়োনিস্ট বাহিনী। গাজায় আগ্রাসন চালানোর পেছনে ইসরায়েলের প্রধান একটি লক্ষ্য ছিল, গাজায় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে বন্দী ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্ত করা। কিন্তু এখন অবধি বন্দী বিনিময় চুক্তি ব্যতীত অন্য কোনোভাবে বন্দী মুক্ত করতে পারেনি তারা। বরং, বন্দীদের মুক্ত করতে গিয়ে কিছু সময় নিজেরাও নিহত হয়েছে, আবার বন্দীদেরও হত্যা করেছে। বন্দীদের মুক্তির দাবিতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তেল আবিবে নিয়মিত বিক্ষোভ করছে দখলদার ইসরায়েলিরা। হামাস বলেছে, বন্দীদের মুক্ত করার একমাত্র উপায় হলো গাজায় আগ্রাসন চালানো বন্ধ করা এবং সকল ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া। গাজায় পুরোপুরি আগ্রাসন বন্ধ না করলে বন্দী মুক্তির বিষয়ে কোনো আলোচনায় যেতে রাজি না হামাস।

তেল আবিবের কাছাকাছি রাআনানা এলাকায় লোন উলফ ধরনের একটি হামলা চালানো হয়েছে। প্রথমে এক দখলদারকে ছুরিকাঘাত করে তার গাড়ি নিয়ে দখলদার জায়োনিস্টদেরকে গাড়ি চাপা দিতে থাকেন। এভাবে দুইবার গাড়ি বদল করেছেন হামলাকারীরা। এই হামলায় দখলদার জায়োনিস্টদের অন্তত ২০ সদস্য আহত হয়েছে, আর ১ জায়োনিস্ট নিহত হয়েছে। গাজায় দখলদার জায়োনিস্ট বাহিনীর নির্মম ও বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপই এই হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারী ছিলেন দুই জন ফিলিস্তিনি। তাদেরকে গ্রেফতার করেছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা এই হামলার সাধুবাদ জানিয়েছেন। দখলদার জায়োনিস্টদের উপর সবদিক থেকে হামলার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন।

গাজায়, বিশেষভাবে খান ইউনিসে দখলদার বাহিনীর উপর তীব্র হামলা অব্যাহত রেখেছেন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। ১৫ই জানুয়ারি আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুজাহিদগণ দখলদার বাহিনীর উপর হামলা চালিয়ে জায়োনিস্ট বাহিনীর ২টি সামরিক যান ও সৈন্য সমাবেশ ধ্বংস করেছেন। এছাড়া, ইয়াসিন ১০৫ দিয়ে জায়োনিস্ট বুলডোজারে হামলা চালিয়েছেন। টানেল থেকে বের হয়ে খুব কাছ থেকে জায়োনিস্ট বাহিনীর ৫ পদাতিক সৈন্যের উপর মেশিনগান ব্যবহার করে হামলা করেছেন। আরও দুই জায়গায় দখলদার পদাতিক বাহিনীর উপর অ্যান্টি-পার্সনেল ডিভাইস ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধমার্কিন বন্দী ওয়ারেন ওয়েইনস্টেনকে নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ
পরবর্তী নিবন্ধআফগানিস্তানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাদেশিক প্রধানদের মধ্যে সমন্বয়মূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত