পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির মাসিনা অঞ্চলের বিভিন্ন শহরে সম্প্রতি ৭টি পৃথক অপারেশন পরিচালনা করছেন আল-কায়দা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এর কয়েকটিতেই শত্রু বাহিনীর অন্তত ১৮ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আয-যাল্লাকা মিডিয়া সূত্রে জানা যায়, প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) যোদ্ধারা, গত ৮ জানুয়ারি সোমবার মাসিনা অঞ্চলের সেকো রাজ্যে একটি অতর্কিত আক্রমণ চালিয়েছেন। রাজ্যটির সাই শহরের কাছে মালিয়ান সেনাবাহিনীর একটি দলকে টার্গেট করে উক্ত অতর্কিত অভিযানটি পরিচালনা করেন মুজাহিদগণ। এতে মালির জান্তা বাহিনীর অন্তত ১০ সৈন্য নিহত হয় এবং একটি সাঁজোয়া যান ধ্বংস হয়।
অভিযান শেষে মুজাহিদগণ ঘটনাস্থল থেকে ১টি গাড়ি, ১টি দুশকা এবং ১০টি ক্লাশিনকোভ গনিমত হিসাবে জব্দ করেন।
একইদিন সকালে মোপ্তি রাজ্যের দিয়াঙ্গা সাগো এলাকায় মালিয়ান সেনাবাহিনীর একটি অবস্থানে সামরিক অভিযান চালান মুজাহিদগণ। এতে মালিয়ান সেনাবাহিনীর কমপক্ষে ২ সৈন্য নিহত হয়, আর বাকিরা আহতদের নিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
অভিযান শেষে মুজাহিদগণ ঘটনাস্থল থেকে ২টি গাড়ি, ৩টি দুশকা, ৩টি পিকা, ১টি আরপিজি, ৭টি ক্লাশিনকোভ এবং প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ জব্দ করেন। এছাড়াও মুজাহিদগণ সেনাবাহিনীর একটি সাঁজোয়া যান সহ কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে দেন।
অপরদিকে গত ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার, মোপ্তি রাজ্যের কুনা গ্রামে মালিয়ান সেনাবাহিনীর একটি সামরিক ব্যারাকের প্রধান ফটকে অভিযান চালান মুজাহিদগণ। অভিযানে ফটকের কাছাকাছি অবস্থান নেওয়া সেনাবাহিনীর অন্তত ৫ সৈন্য নিহত হয়, বাকি আহত সৈন্যরা জীবন বাঁচাতে ফটক বন্ধ করে ঘাঁটির ভিতর আশ্রয় নেয়।
একই দিনে, ‘জেএনআইএম’ যোদ্ধারা কৌলিকোরো রাজ্যের নারা শহরে সেনাবাহিনীর আরও একটি অবস্থানে অভিযান চালান। এতে মালিয়ান সেনাবাহিনীর ১ সৈন্য নিহত হয় এবং বাকিরা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যায়।
এই অভিযানগুলো ছাড়াও গত ৫ এবং ৮ জানুয়ারি মাসিনা অঞ্চলের বান্দিয়াগ্রা, মারজা এবং সাই শহরে আরও ৩টি পৃথক অভিযান পরিচালনা করেন মুজাহিদগণ। এসকল অভিযানেও শত্রু বাহিনীতে হতাহতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানা যায়।