সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় জিলিব শহরে মার্কিন মনুষ্যবিহীন বিমানের বোমাবর্ষণে দুই কিউবান জিম্মি প্রাণ হারিয়েছে। নিহত এই বন্দীরা কয়েক বছর ধরে দেশটির প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের হেফাজতে ছিলো বলে জানা গেছে।
স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য অনুসারে, মার্কিন মানববিহীন বিমান গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ সোমালিয়ায় বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা চালিয়েছে। এদিন দুপুর ১২:১০টায় প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের রাজধানী হিসাবে পরিচিত জিলিব শহরের একটি বাড়ি লক্ষ্য করেও ড্রোন হামলা চালানো হয়। এর মাধ্যমে প্রতিরোধ বাহিনীর হাতে আটক অ্যাসেল হেরেরা এবং ল্যান্ডি রদ্রিগেজ নামে দুই কিউবান ডাক্তারকে হত্যা করে মার্কিন বিমান বাহিনী।
পরে প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের প্রেস অফিস একটি বিবৃতিতে উক্ত হামলায় কিউবার চিকিৎসকদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে জানানো হয়, মার্কিন হামলায় নিহত দুই কিউবান ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল মুজাহিদদের হাতে আটক হয়। তাদেরকে কেনিয়ার অধিকৃত মুসলিম ভূমি মান্দেরা অঞ্চলে শাবাবের পরিচালিত একটি সামরিক অভিযানের সময় শত্রু বাহিনীর সাথে বন্দী করা হয়েছিল।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েক বছর ধরেই ইচ্ছাকৃতভাবে বন্দীদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করে আসছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সকালের কিউবান বন্দীদের উপর ড্রোন হামলা আবারও সোমালিয়ায় আফ্রিকমের (AFRICOM) অপারেশনের বেপরোয়া এবং মরিয়া অবস্থা জনসম্মুখে উন্মোচন করে দিয়েছে। সেইসাথে আমেরিকান ক্রুসেডারদের অযোগ্যতা এবং তাদের দুর্বল গোয়েন্দা পরিষেবাও স্পষ্ট হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য যে, আশ-শাবাব-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে মার্কিন বিমান হামলায় প্রায়ই বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটছে। স্থানীয়রা বলছেন, বেসামরিক নাগরিকদের প্রায়ই ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী।