আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশে ৩ দিন ব্যাপী একটি সেমিনারের আয়োজন করেছে ইমারতে ইসলামিয়ার উচ্চশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রণালয়। উক্ত সেমিনারের বিষয়বস্তু ছিল ‘ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ ও বিশেষায়িত সংগঠনগুলোর মধ্যে সমন্বয়’। সেমিনারে রাজনীতিতে আলেম সমাজের ভূমিকা নিয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোকপাত হয়েছে। সেমিনারের শেষ দিন ইমারতে ইসলামিয়ার সর্বোচ্চ আমীর শাইখুল হাদিস মৌলভী হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা হাফিযাহুল্লাহ মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন।
সম্মানিত আমীর তার বক্তব্যে আম্বিয়ায়ে কেরামের উত্তরাধিকারী আলেমগণকে আল্লাহর দ্বীনের অভিভাবক ও আল্লাহর প্রিয় বান্দা হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ইসলামী শরীয়তের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তুলতে আলেমদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ইমারতে ইসলামিয়ার প্রণীত ডিক্রিসমূহ জনগণের মাঝে সুস্পষ্ট করে তুলে ধরতে তিনি আলেমদের আহ্বান জানান। এতে করে জনসাধারণ উক্ত ডিক্রিসমূহ মেনে চলতে উৎসাহিত হবে এবং এগুলোর বাস্তবায়নে সহযোগী হবে। পাশাপাশি আলেমদের উচিত নাগরিকদের মাঝে বিবাদ, বিচ্যুতি ও অবাধ্যতা নিয়ন্ত্রণ করা। তিনি দ্ব্যর্থ্যহীন ভাষায় আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় কোন হুকুম শরীয়ত পরিপন্থী হলে আলেমগণ যেন সেটির বিরোধিতা করেন।
পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা মুসলিম দেশগুলোতে ধর্ম ও রাজনীতিকে পৃথক রাখতে ষড়যন্ত্র অব্যহত রেখেছে। কিন্তু ইসলামের আলোকে রাজনৈতিক বিষয়াদিতে সঠিক পথ দেখানো আলেমদের দায়িত্ব ও অধিকার।
এছাড়া আমিরুল মুমিনীন ইমারতে ইসলামিয়ার মন্ত্রীদের কাজের প্রশংসা করেন। বর্তমান মন্ত্রীগণ অত্যন্ত নেককার ও আমীরের প্রতি আনুগত্যশীল। তাই তাদের আনুগত্য ও সম্মান করতে তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। সম্মান ও আনুগত্য কেবল সর্বোচ্চ আমীরের জন্য নয়, বরং সকল পর্যায়ের আমীরের জন্যই তা প্রযোজ্য বলে মন্তব্য করেন আমিরুল মুমিনীন।
তথ্যসূত্র:
1. Esteemed Amir-ul-Momineen Addresses Three-day Seminar in Kandahar
– https://tinyurl.com/2f23z5ss
2. Religious Scholars in Politics: Islamic Emirate’s Perspective
– https://tinyurl.com/5cp5t7fp
3. EA’s supreme leader happy with ‘obedient’ ministers
– https://tinyurl.com/2s3jckz7