আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকা শাখা ‘জেএনআইএম’ (জেনিম) নিশ্চিত করেছে যে, দলটির মুজাহিদগণ মালির মোপ্তি রাজ্যে ইস্তেশহাদী অপারেশনের মাধ্যমে একটি বীরত্বপূর্ণ সফল অভিযান পরিচালনা করছেন। এতে মুজাহিদগণ এলাকা ও সামরিক ব্যারাকের নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ৪ বিলিয়ন FCFA সমমূল্যের গনিমত লাভ করেছেন বলেও জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রমতে, গত ৩ মে শুক্রবার সকালে, মালির জাফরাবী এলাকায় অবস্থিত জান্তা বাহিনীর একটি সামরিক ব্যারাকে অতর্কিত আক্রমণ চালিয়েছেন শতাধিক সশস্ত্র যোদ্ধা। সামরিক ব্যারাক লক্ষ্য করে প্রথমে একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে ইস্তেশহাদী হামলা চালানো হয়, এরপর পরই আল-কায়েদা শাখা ‘জেএনআইএম’ তথা জেনিমের সাথে যুক্ত ইনগিমাসী যোদ্ধারা ভারী মেশিনগান ও অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে মোটরসাইকেল ও কয়েকটি গাড়িতে করে এই অভিযানে অংশ নেন। ফলে এলাকাটিতে মালির জান্তা বাহিনী ও জেনিমের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মাঝে কয়েক ঘন্টার তীব্র এক লড়াই সংঘটিত হয়।
একপর্যায়ে ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের তীব্র আক্রমণে যুদ্ধের ময়দানে জান্তা বাহিনীর অবস্থা নড়বড়ে হয়ে যায়। তখন জান্তা বাহিনী সামরিক ব্যারাক ও জাফরাবী এলাকা ছেড়ে পিছু হটতে শুরু করে। ততক্ষণে মুজাহিদদের হাতে জান্তা বাহিনীর অন্তত ১৯ সেনা নিহত এবং আরও ১৭ এরও বেশি সৈন্য আহত হয়। আর মুজাহিদিন তথা প্রতিরোধ যোদ্ধাগণ সামরিক ব্যারাক ও এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পাশাপাশি, জান্তা বাহিনী থেকে ৪ বিলিয়ন FCFA সমমূল্যের বেশি সাঁজোয়া যান ও অস্ত্র গনিমত হিসাবে লাভ করেন।
আয-যাল্লাকা মিডিয়া তথ্যসূত্রে জানা যায়, অভিযান শেষে জান্তা বাহিনী থেকে মুজাহিদদের অর্জিত গনিমতের মধ্যে রয়েছে ১টি সাঁজোয়া যান, ৮টি যানবাহন, ৩টি ১৪.৫মিমি মেশিনগান, ৫টি দুশকা, ৭টি পিকা, ৩টি আরপিজি, ১টি এসপিজি আর্টিলারি, ১টি মর্টার লঞ্চার, ৯টি ক্লাশিনকোভ এবং ৫টি পিস্তল সহ ৪৩৪টি গোলাবারুদ ভর্তি বাক্স।
জেএনআইএম নিশ্চিত করেছে যে, বরকতময় এই যুদ্ধে অসংখ্য শত্রু সৈন্য নিহত হওয়ার বিপরীতে শুধুমাত্র একজন মুজাহিদ ভাই শহীদ হয়েছেন (ইনশাআল্লাহ)।