ভারতের যোধপুরের সূরসাগর অঞ্চলে ঈদগাহর গেট সরানোকে কেন্দ্র করে হিন্দু সন্ত্রাসীরা মুসলিম বসতি লক্ষ করে পাথর নিক্ষেপ এবং অগ্নিসংযোগ করেছে। স্থানীয় মুসলিম মহিলাদের অভিযোগ, পুলিশ তাদের বাড়ি থেকে জোরপূর্বক টেনে নিয়ে গেছে এবং লাঞ্ছিত করেছে।
২১ জুন, শুক্রবার গভীর রাতে, যোধপুরের সূর সাগর এলাকায় একটি ঈদগাহর গেট সরানোকে কেন্দ্র করে উগ্র হিন্দুরা সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটায়। এসময় একজন মুসলিম দোকানীর দোকানে আগুন দেওয়া হয় এবং দুটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। এ ঘটনায় ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ও সুরসাগরের ব্যবসায়ী মহল্লার বাসিন্দা আসিফ খান। তিনি বলেন, “প্রধান সড়কে একটা ঈদগাহ রয়েছে, যার গেট সরানোকে কেন্দ্র করে হিন্দু ও মুসলিম দু’পক্ষের কথা চলতে থাকে এবং ক্রমশ বিবাদ বাড়তে থাকে। তবে সন্ধ্যে সাতটা থেকে আটটার মধ্যে এই বিষয়ে সবাই একটা সমঝোতায় পৌঁছায়।… কিন্তু সেই সমঝোতা হওয়ার পর লোকজন তাদের বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই হিন্দু সন্ত্রাসীরা মুসলিম বসতি লক্ষ করে পাথর ছোঁড়া শুরু করে। এতে বহু মানুষ আহত হয়। এরপরই এই ঘটনা বড় আকার নেয়।”
স্থানীয়রা জানান, সহিংসতার ঘটনার তিন দিন আগে থানায় একটি অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তিন দিনেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশের এই উদাসীনতাই ঘটনাটিকে সহিংসতার দিকে পরিচালিত করেছে।
পুলিশের বিরুদ্ধে মুসলিমদের উপর বর্বরতা চালানোর অভিযোগও করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় মুসলিম মহিলারা দাবি করেছেন যে, পুলিশ ওই এলাকায় ঢিল বা পাথর ছোঁড়ায় হিন্দু সন্ত্রাসীদের সহযোগিতা করেছে। তারা দাবি করেছেন, পুলিশ তাদের বাড়িতে ঢুকে মারধরও করেছে। নারীদের দাবি, তাদের চুল ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে মাথা, হাত ও শরীরের অন্যান্য অংশে লাঠিপেটা করা হয়। এমনকি বয়স্ক মহিলারাও পুলিশের হাত থেকে রেহাই পাননি বলে জানিয়েছেন তারা।
তথ্যসূত্র:
1. Communal violence in Jodhpur, local Muslim women allege police brutality
– https://tinyurl.com/mkyxh