বিগত বছর স্বদেশে ফিরেছেন ১৮লাখ ৭৯হাজারের অধিক আফগান শরণার্থী

0
187
ইমারতে ইসলামিয়া সরকার ক্ষমতা গ্রহণ

পশ্চিমা আগ্রাসনের কারণে বিগত কয়েক দশক ধরে আফগান ভূমিতে যুদ্ধাবস্থা বিরাজমান ছিল। এই সময় ইরান, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে আফগানবাসী শরণার্থী হতে বাধ্য হয়েছিল। ইমারতে ইসলামিয়া সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতি হতে শুরু করে। ফলে ক্রমেই স্বদেশে ফিরে আসছে আফগান শরণার্থীগণ। এছাড়া পাকিস্তান ও ইরান একাধিকবার আফগান শরণার্থীদের জোরপূর্বক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বাধ্য করেছিল।

বিগত হিজরি সৌর বছরে(১৪০২ সাল) সর্বমোট ১৮লাখ ৭৯হাজারের অধিক আফগান শরণার্থী স্বদেশে ফিরেছেন। এখনও প্রায় ৭০লাখ আফগান শরণার্থী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরেও প্রায় ৩০লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত রয়েছেন। ইমারতে ইসলামিয়া সরকারের শরণার্থী ও প্রত্যাবসন বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই তথ্যগুলো প্রদান করেছে।

মন্ত্রণালয়টির কর্মকর্তাগণ জানান, বিগত বছর পাকিস্তান, তুরস্ক ও ইরানে ৯হাজার ৭০০জন কারাবন্দী আফগান শরণার্থী মুক্তি পেয়েছেন, ইতোমধ্যে তাঁরা দেশে ফিরে এসেছেন। তবে পাকিস্তান, ইরান, আরব আমিরাত এবং কাতারে এখনও ১৫ হাজারের অধিক কারাবন্দী আফগান শরণার্থী রয়েছে। ইমারতে ইসলামিয়া সরকার তাদেরকে মুক্ত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

মন্ত্রণালয়টির প্রযুক্তিগত উপপরিচালক জানান, শরণার্থীদের সমস্যাগুলো নিয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ ও আশ্রয়দাতা দেশসমূহের প্রতিনিধিগণ আলোচনা করে যাচ্ছেন।

মন্ত্রণালয়টির পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান মাহমুদুল হক আহাদি হাফিযাহুল্লাহ বলেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৮২২ জন্য শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুত পরিবারকে নগদ অর্থ ও অন্যান্য সহায়তা সরবরাহ করেছে উক্ত মন্ত্রণালয়। আফগানিস্তানের ২৯টি প্রদেশে বর্তমানে ৪৬টি শরণার্থী অঞ্চল রয়েছে। এছাড়া তাদের স্থায়ী আবাসনের জন্য ১৩টি আবাসিক এলাকার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

শরণার্থী বিষয়ক সমস্যাগুলো মোকাবেলা করতে এই সরকার ৯৩টি সহযোগী সংস্থা, ৭টি এজেন্সি ও ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করেছিল। এই সকল প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় বিভিন্ন প্রদেশে ১১টি স্কুল, ৬টি হাসপাতাল, ৬টি বাগান, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, খাল, কূপ এবং অন্যান্য মৌলিক সেবা সরবরাহ করে যাচ্ছে ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন।

মন্ত্রণালয়টির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে অন্যতম হল স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে আসতে শরণার্থীদের উৎসাহিত করা, শরণার্থীদের সুশৃঙ্খলভাবে স্থানান্তর করা, দেশের অর্থনীতিতে শরণার্থীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা, তাদেরকে কর্মক্ষম করে তোলা, শরণার্থী শিবিরসমূহে প্রশাসন, ব্যবস্থাপনা ও মৌলিক সেবা সরবরাহ আরও জোরদার করা, উপযুক্ত কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা ইত্যাদি।


তথ্যসূত্র:
1. Ministry: Last Year 1.8M Afghan Refugees Returned to Country
– https://tinyurl.com/52xzv36u

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধএবার সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক আটক
পরবর্তী নিবন্ধগাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ১৬৪৫৬ শিশু নিহত