
দখলদার ইসরায়েল অব্যাহতভাবে গাজায় ওষুধ সামগ্রী প্রবেশ বন্ধ করে দেয়ায় প্রায় অর্ধ মিলিয়নের বেশি শিশু স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ওষুধ সামগ্রীর মধ্যে পোলিও ভ্যাকসিনও প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পোলিও টিকা প্রবেশ বন্ধ করে দেয়ায় গাজায় চতুর্থ ধাপে এর কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না। এর ফলে ৬ লাখ ২ হাজার শিশু স্থায়ীভাবে বিকলাঙ্গ এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রতিবন্ধকতার ঝুঁকিতে রয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যের পরিণতি বিপর্যয়কর হতে পারে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পর্যাপ্ত পুষ্টি এবং সুপেয় পানির অভাবে শিশুরা ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে।
গত মার্চ থেকে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, মানবিক সহায়তার অভাবে গাজায় ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
জাতিসংঘ সতর্ক করে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সবচেয়ে গুরুতর মানবিক সংকটের মুখোমুখি গাজা। জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয় অফিস জানিয়েছে, গত ১৮ মাসের মধ্যে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে মানবিক পরিস্থিতি এখন সবচেয়ে খারাপ।
এক বিবৃতিতে ওসিএইচএ জানিয়েছে, দেড় মাস ধরে গাজায় কোনো সরবরাহ পৌঁছায়নি। তাছাড়া চিকিৎসা সরঞ্জাম, জ্বালানি, পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রেরও ঘাটতি রয়েছে।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানিয়েছে ২২ এপ্রিল, মঙ্গলবার সন্ত্রাসী ইসরায়েলের বর্বর হামলায় ২৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৫১ হাজার ২৬৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৯৯১ জন। এছাড়া ১৮ মার্চে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ১৮৯০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৯৫০ জন।
তথ্যসূত্র :
1.At least 600,000 children at risk of ‘permanent paralysis’ in Gaza: Ministry
– https://tinyurl.com/433c67hj
2. Gaza death toll rises
– https://tinyurl.com/yz2fn8rt