
সোমালিয়ায় কুখ্যাত “দানাব” নামক একটি সামরিক ইউনিটের ঘাঁটিতে বৃহৎ পরিসরে সামরিক অপারেশন পরিচালনা করেছেন হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন। ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা প্রশিক্ষিত এবং সজ্জিত এই বাহিনীকে ধ্বংস করার মাধ্যমে মুজাহিদিনরা কেন্দ্রীয় সোমালিয়ার ওয়ারগাদি শহরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
শাহাদাহ এজেন্সির সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ভোরে, সোমালিয়ার মধ্য শাবালি রাজ্যের ওয়ারগাদি শহরে অবস্থিত একটি শত্রু সামরিক ঘাঁটিতে বৃহৎ পরিসরে একটি সামরিক অপারেশন চালিয়েছেন হারাকাতুশ শাবাবের জানবায মুজাহিদিনরা। লক্ষ্যবস্তু শহর ও সামরিক ঘাঁটিটি সোমালিয়ার উপকূলীয় কৌশলগত শহর আদেল থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। শহর ও সামরিক ঘাঁটিটির নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক প্রশিক্ষিত এবং অত্যাধুনিক সব অস্ত্রে সজ্জিত “দানাব” নামক সোমালি স্পেশাল ফোর্সের সৈন্যরা।
হারাকাতুশ শাবাব প্রশাসন এই যুদ্ধে দানব ফোর্সকে ধ্বংস করতে তাদের সবচাইতে চৌকস ইস্তেশহাদী ব্রিগেডের মুজাহিদদের নিয়োগ করেন, যারা ভারী অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে শহরের ২ দিক থেকে অগ্রসর হন। এসময় মুজাহিদিনরা দানাব ফোর্সের সাথে তীব্র এক রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন। ফলে ভারী অস্ত্রের ঝনঝনানি আর মুহুর্মুহু বোমার আঘাতে পুরো শহর কেঁপে উঠে।
মার্কিন প্রশিক্ষিত “দানাব” ফোর্স এসময় সর্বাত্মকভাবে শহরটির উপর নিজেদের দখলদারিত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু মুজাহিদদের তীব্র আর কৌশলি আক্রমণের সামনে তা শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। মুজাহিদিনরা এদিন শত্রু বাহিনীর মনোবল ভেঙে দিতে সবচাইতে বেশি শক্তি ব্যায় করেন ওয়ারগাদি শহরে অবস্থিত মধ্য শাবেলি রাজ্যের “দানাব” ফোর্সের সদর দপ্তর ধ্বংস করতে।
মহান রব্বুল আলামিনের সাহায্যে মুজাহিদিনরা তীব্র লড়াইয়ের মাধ্যমে প্রথমেই দানাব” ফোর্সের সদর দপ্তর ধ্বংস করতে সক্ষম হন। এতে শত্রু বাহিনীর মনোবল ভেঙে পড়লে মুজাহিদিনরা শহরের অন্যান্য সামরিক ঘাঁটি ও বিমানঘাঁটির দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেন। এসময় দানাব ফোর্স ও মোগাদিশু সৈন্যরা যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে পালাতে শুরু করে। শত্রু বাহিনীর এই পালানো শুরু হলে মুজাহিদিনরা একে একে শহরের একমাত্র বিমান ঘাঁটি ও সমস্ত সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেন, সর্বশেষ পুরো শহরের উপর মুজাহিদিনরা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন।
মুজাহিদদের বীরত্বপূর্ণ এই অভিযানে দানাব ফোর্সের অন্তত ৬০ সৈন্য নিহত এবং আরও ২০ এরও বেশি সৈন্য আহত হয়। এসময় শহরটির পতন রোধে একটি সামরিক কনভয়ও পাঠানোর চেষ্টা করে মোগাদিশু প্রশাসন। কিন্তু এই কনভয় শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছা মাত্রই মুজাহিদদের ভারী আক্রমণের মুখোমুখি হয়। ফলে শত্রু বাহিনীর ২টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সাথে ৭ সৈন্য নিহত এবং আরও ৩ এরও বেশি সৈন্য আহত হয়। পরে বাধ্য হয়ে এই দলটি সামনে অগ্রসর হওয়ার পরিবর্তে পিছনে পালাতে বাধ্য হয়।
তথ্যসূত্র:
– https://tinyurl.com/42duuvd5