
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর ল্যানভিলা অঞ্চলে জান্তা বাহিনীর অবস্থানে বৃহৎ পরিসরে একটি সামরিক অপারেশনের ঘটনা ঘটেছে। আল-কায়দা সংশ্লিষ্ট জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন ‘জেএনআইএম’এর মিডিয়া শাখা আয-যাল্লাকা এক রিপোর্টে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্রমতে, ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিনরা গত ২১ এপ্রিল সোমবার ভোরে, বুরকিনা ফাসোর দেদুগু প্রদেশের ল্যানফিলায় একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে অতর্কিত আক্রমণ চালিয়েছেন। ‘জেএনআইএম’ এর অর্ধশতাধিক মুজাহিদ সামরিক ঘাঁটিটি ঘিরে বিভিন্ন দিক থেকে অতর্কিত আক্রমণ শুরু করলে জান্তা বাহিনী দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ে। এসময় জান্তা বাহিনীর কয়েক ডজন সৈন্য হতাহত হয়, যাদের মাঝে ১০ সেনার মৃতদেহ যুদ্ধক্ষেত্রে ফেলে রেখেই অন্যরা জীবন নিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রমতে, কয়েক সপ্তাহ আগে বুরকিনা ফাসোর ক্ষমতাসীন জান্তা প্রধান ইব্রাহিম তাওরে দেশটির সামরিক বাহিনীকে সুসংগঠিত করতে ৯০০ এরও বেশি সামরিক যানবাহন অধিগ্রহণ করেছে। যার একটি অংশ ল্যানফিলা এলাকায় নতুন নির্মাণাধীন সামরিক ঘাঁটিতে হস্তান্তর করা হয়েছিল। আর এই তথ্য মুজাহিদদের কাছে পৌঁছা মাত্র এই এলাকায় শত্রু বাহিনী সুসংগঠিত হওয়ার আগেই মুজাহিদিনরা সোমবার ভোরে আক্রমণটি পরিচালনা করেন। এতে বহু সংখ্যক জান্তা সদস্য হতাহত হওয়া ছাড়াও তাদেরকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে পাঠানো ১৩টি সামরিক যানবাহন এবং বেশ কিছু নির্মাণ সামগ্রী ও কিছু মোটরসাইকেল মুজাহিদিনরা ধ্বংস করেন।
আয-যাল্লাকার তথ্য অনুযায়ী, মুজাহিদিনরা এই অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন করার পর ঘাঁটি থেকে ৫টি সামরিক যানবাহন, একটি মর্টার, ৩টি দুশকা মেশিনগান, ১২টি আরপিজি, ১৩টি পিকে, ৬০টি ক্লাশিনকোভ, ৪টি পিস্তল, একটি ড্রোন, ২২টি মোটরসাইকেল, ৩২টি গোলাবারুদের বাক্স এবং অন্যান্য বহু সামরিক সরঞ্জাম গনিমত হিসাবে অর্জন করেছেন। সেই সাথে জান্তা বাহিনীর জন্য ঘাঁটির গুদাম ঘরে মজুদ করা প্রচুর পরিমাণে খাদ্য সামগ্রী ও জ্বালানি তেল মুজাহিদিনরা জব্দ করেন। এরপর অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সহ সম্পূর্ণ সামরিক ঘাঁটি, গুদাম ঘর ও সরবরাহকৃত মালামাল মুজাহিদিনরা পুড়িয়ে দেন।
তথ্যসূত্র:
– https://tinyurl.com/2xem5xkh