সোমালিয়ায় হালানি ঘাঁটিতে মুজাহিদদের হামলায় ৩ মার্কিন সেনা নিহত: আহত আরও ১৩ এরও বেশি ক্রুসেডার

0
186

সোমালিয়ায় ক্রুসেডার বাহিনীর ব্যবহৃত সর্ববৃহৎ “হালানি” সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছেন আশ-শাবাব আল-মুজাহিদিন। হারাকাতুশ শাবাব প্রশাসনের সামরিক নেতৃত্ব প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছে যে, মুজাহিদদের এই হামলায় ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনীর অন্তত ৩ সেনা নিহত হয়েছে। অফিসার সহ কমপক্ষে আরও ৭ মার্কিনী ও ৬ ইতালীয় ক্রুসেডার সেনা আহত হয়েছে।

সূত্রমতে, সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ, সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর হালানি সামরিক ঘাঁটিতে আশ-শাবাব মুজাহিদিনরা একটি ঘনীভূত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছেন। মুজাহিদদের হামলার লক্ষ্যবস্তু এই সামরিক ঘাঁটিটি সোমালিয়ায় দখলদার বাহিনীর ব্যবহৃত সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি, যেখানে আফ্রিকান ইউনিয়ন কমান্ড সেন্টার এবং পশ্চিমা কূটনৈতিক মিশনের অফিসগুলো অবস্থিত।

হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিনের সামরিক নেতৃত্বের জারি করা বিবৃতি অনুযায়ী: রাজধানী মোগাদিশুতে অবস্থিত হালানে ক্যাম্পের ভিতরে সোমবার মুজাহিদিনরা বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছেন। মুজাহিদদের এসকল হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে দখলদার বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ৪টি সামরিক অবস্থান।

– মুজাহিদদের এই হামলার প্রথম লক্ষ্যবস্তু ছিল মার্কিন অপারেশন সেন্টার, যেখানে হামলার সময়, আমেরিকান ও তুর্কি কর্মকর্তারা সহ অন্যান্য শ্বেতাঙ্গ কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি বৈঠক চলছিল। ফলে এই স্থানে মুজাহিদদের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনীর অন্তত ৩ সৈন্য নিহত এবং অফিসার সহ আরও ৭ সৈন্য আহত হয়েছে। হামলায় বেশ কিছু তুর্কি সেনা ও সামরিক কর্মকর্তা হতাহত হলেও এর সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায় নি।

– মুজাহিদদের হামলার দ্বিতীয় লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে তুর্কি ও মার্কিন বাহিনীর ড্রোন ও পার্কিং লট। এতে দখলদার বাহিনীর বেশ কিছু সামরিক ড্রোন ক্ষতিগ্রস্ত ও পার্কিং লটের উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়।

– মুজাহিদদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তৃতীয় লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল ক্যাম্পে অবস্থিত ইতালীয় দূতাবাস। এতে ক্রুসেডার ইতালীয় বাহিনীর অন্তত ৬ কর্মকর্তা আহত হয়েছে।

– আর মুজাহিদদের হামলার চতুর্থ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে মার্কিন দূতাবাস সুরক্ষার জন্য নিয়োজিত মার্কিন প্রশিক্ষিত সোমালি “আলফা” মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সদর দপ্তর। ঘটনাস্থলে মুজাহিদদের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলে বেশ কিছু “আলফা” সদস্য হতাহত হয় এবং সদর দপ্তর উল্লেখযোগ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সামরিক ক্যাম্পটিতে মুজাহিদদের হামলার কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয় যে, এই ক্যাম্পটি থেকে ইসলাম বিরোধী প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়, যার লক্ষ্য হচ্ছে সোমালি মুসলমানদের ধর্ম, চিন্তাধারা, জীবন, সম্পদ, সম্মান এবং স্বাধীনতা ধ্বংস করা। ফলে এই আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে জিহাদে অংশগ্রহণ করা প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য।


তথ্যসূত্র:
– https://tinyurl.com/yck9sdj4

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধবর্বর ইসরায়েলি গণহত্যায় শহীদের ৬৫ শতাংশই নারী-শিশু ও বৃদ্ধ
পরবর্তী নিবন্ধভিডিও || কেবল সন্দেহের বশে কাশ্মীরের নয়টি বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিল হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন