
ভারতে হিন্দুত্ববাদী শক্তির ধারাবাহিক আক্রমণের শিকার হয়ে আসছে মুসলিম সম্প্রদায়। কখনও গোমাংসের গুজব, কখনও নামাজে বাধা, কখনও হিজাব নিষিদ্ধ- এ সবের মাঝেই এবার কর্ণাটকে আরও একটি চরম নিন্দনীয় ঘটনা ঘটেছে। কর্ণাটকের বেলগাভি এলাকার শান্তিবস্তিওয়াড়ি গ্রামে মসজিদ থেকে বেশকিছু পবিত্র কুরআন ও হাদিসের বই চুরি করে পাশেই পুড়িয়ে দিয়েছে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা।
গত ১৪ মে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য অবজারভার জানায়, ১২ মে ভোরে নামাজের পর মুসল্লিরা প্রথম বুঝতে পারেন যে পবিত্র গ্রন্থগুলো মসজিদে নেই। পরে মসজিদের পাশের এলাকায় বইগুলো পোড়া অবস্থায় দেখতে পান তারা। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পরই এলাকাজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় মুসলিমরা জানান, এটি চলতি বছরে তৃতীয়বারের মতো কুরআন অবমাননার ঘটনা, কিন্তু প্রশাসন আজও কোনো অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এই অব্যবস্থার প্রতিবাদে শান্তিবস্তিওয়াড়ি, পিরানওয়াড়ি ও মাচ্চে গ্রামের মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।
তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার চেষ্টা করলে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার অজুহাতে তাদের বাধা দেওয়া হয়। ফলে বিক্ষোভকারীরা বেলগাভি-গোয়া হাইওয়ের বিশ্বেশ্বরায়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এদিকে, কর্ণাটকের গণপূর্ত মন্ত্রী সতীশ জারকিহোলি ঘটনাটির নিন্দা না করে বরং দায় এড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সে বলেছে, ‘মসজিদে সিসিটিভি থাকা উচিত ছিল,’ যা থেকে স্পষ্ট, সে নিরাপত্তা ঘাটতির অজুহাতে দায় মসজিদের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়। এরপর তার স্বভাবসুলভ বক্তব্য, ‘পুলিশ মামলা রুজু করেছে এবং তদন্ত চলছে।’
বর্তমানে শান্তিবস্তিওয়াড়ি এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ভিডিওটি আর্কাইভ থেকে দেখুন:
তথ্যসূত্র:
1. Unrest in K’taka’s Belgavi After Quran and Hadith Burned at Mosque, Protesters Demand Arrests
– https://tinyurl.com/mrxkftcw