
সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ‘তিস্তা প্রহার’ নামে তিনদিনব্যাপী (৮ থেকে ১০ মে) একটি পূর্ণমাত্রার সামরিক মহড়া চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এই মহড়াটি বাংলাদেশের সীমান্তের অত্যন্ত কাছাকাছি, ‘চিকেনস নেক’ বা শিলিগুড়ি করিডোর এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
১৭ মে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, এই মহড়ায় ভারী অস্ত্র, হেলিকপ্টার, সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল এবং আধুনিক ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক সদস্য বলছেন, এটা কোনো সাধারণ রুটিন মহড়া নয়, কারণ এই এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে এত বড় ধরনের সামরিক মহড়া হয়নি।
এদিকে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কা ব্যারাজ এলাকায়ও একই সময় পরিচালিত হয় আরও একটি নিরাপত্তা মহড়া, যার ব্যাপারে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এটি ছিল একটি পূর্বনির্ধারিত ‘মক ড্রিল’। ভারতের সিআইএসএফ-এর সিনিয়র কমান্ড্যান্ট মুকেশ কুমারের মতে, ফারাক্কা ব্যারাজ কৌশলগতভাবে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই নিরাপত্তা জোরদার করতে সেখানে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন এবং নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
তবে সীমান্তের এত কাছাকাছি অঞ্চলজুড়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই ধরনের যুদ্ধ প্রস্তুতির তৎপরতায় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে—এই সামরিক মহড়াগুলোর লক্ষ্য কী? শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সংকেত, নাকি একটি কৌশলগত চাপ তৈরির ইঙ্গিত?
তথ্যসূত্র:
1. Security intensified along Bangladesh border after Operation Sindoor
– https://tinyurl.com/487rjfx3