
মার্কিন জিম্মি আলেক্সান্ডারের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ মিলবে, আর তা দু’দিনের মধ্যেই। এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ। তবে আলেক্সান্ডার ছাড়া পাওয়ার এক সপ্তাহ পরও বাস্তবায়ন হয়নি অঙ্গীকার। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন গণমাধ্যম ড্রপ সাইট।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে জিম্মি সবশেষ মার্কিনী আলেক্সান্ডারের মুক্তির জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল দরকষাকষি। অবশেষে গত সোমবার মুক্তি দেয়া হয় ওই তরুণকে।
মার্কিন গণমাধ্যম ড্রপ সাইটকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাইম জানান, আলেক্সান্ডারের মুক্তির জন্য ধোকার আশ্রয় নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ সরাসরি প্রস্তাব দিয়েছিল, মার্কিন জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে গাজায় অবরোধ তুলে নেয়া হবে এবং দু’দিনের মধ্যেই ত্রাণ প্রবেশ করবে।
বলা হয়েছিল, বিষয়টি নিশ্চিতে দখলদার ইসরায়েলকে বাধ্য করবে ওয়াশিংটন। এছাড়াও উইটকফ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, আলেক্সান্ডারের মুক্তির পরই অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাবেন ট্রাম্প। উদ্যোগ নেবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য। তবে এক সপ্তাহ পরও এসব প্রতিশ্রুতি নিয়ে টু শব্দটি করছে না মার্কিন প্রশাসন।
বাসেম নাইম বলেন, চুক্তিটি ছিল, আলেক্সান্ডারকে মুক্তি দিলে, ইসরায়েলকে দু’দিনের মধ্যে সীমান্ত খুলতে বাধ্য করবে ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবং গাজায় ত্রাণ প্রবেশ করবে। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান এবং স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার ব্যবস্থাও করবে। কিন্তু তারা এগুলোর কিছুই করেনি। তারা কেবল চুক্তি লঙ্ঘনই নয়, এটি ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করেছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি ইস্যুতে চুক্তির লক্ষ্যে দেড় বছর ধরেই নানা চেষ্টা তদবির চলছে। বারবারই সে প্রচেষ্টায় পানি ঢেলেছে দখলদার ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল। বহু প্রতীক্ষা আর প্রাণহানির পর গত জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি হলেও, ১৮ মার্চ চুক্তি লঙ্ঘন করে আবার গাজায় তাণ্ডব শুরু করে সন্ত্রাসী নেতানিয়াহু বাহিনী।
তথ্যসূত্র:
1. How the Indian Media Amplified Falsehoods in the Drumbeat of War
– https://tinyurl.com/zhrsz6ey