
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সেনাপ্রধান ফাসিহউদ্দিন ফিতরত (হাফিযাহুল্লাহ) বলেছেন, ইমারতে ইসলামিয়ার জিহাদ ছিল কেবলমাত্র দেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য; এটি কোনোভাবেই পদ, মর্যাদা বা ক্ষমতার জন্য ছিল না। গত ২৪ মে কাবুলে এক বিশাল সমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জিহাদের শুরু থেকেই আমাদের লক্ষ্য ছিল আমাদের ইসলামি ভূমি আফগানিস্তানকে আমেরিকা ও তার মিত্রদের দখল থেকে মুক্ত করা। আমরা একটি স্বাধীন আফগানিস্তান চাই। এমন একটি দেশ যেখানে জনগণ ইসলাম চায়, ইসলামি শাসন চায় এবং একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামি ব্যবস্থার অধীনে জীবনযাপন করতে চায়।’
ফাসিহউদ্দিন ফিতরত আরও বলেন, ‘একজন প্রকৃত মুসলিমের কাছে ব্যক্তিগত পদ, পদমর্যাদা কিংবা ক্ষমতা মূখ্য কোনো বিষয় না। আমাদের লক্ষ্য ছিল পরাধীনতা থেকে মুক্তি ও আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা।’
সমাবেশে ইমারতে ইসলামিয়ার অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। তারাও দৃঢ়ভাবে বলেন, তাদের জিহাদ ছিল মার্কিন দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল একটি খাঁটি ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা। তারা আরও জানান, আজ আফগানিস্তান একক নেতৃত্ব, এক পতাকা, এক কণ্ঠস্বর এবং একক কমান্ড কাঠামোর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে, যা জাতির জন্য এক ঐতিহাসিক নিয়ামত।
তথ্যসূত্র:
1. Position and power hold no value for a Muslim, says Chief of Army Staff
– https://tinyurl.com/5vampa76