
মাত্র ছয় মাসের ছেলে সন্তান ঘরে রেখে গত বছরের ৫ আগস্ট কারফিউ ভেঙে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পতনের লক্ষ্যে বন্ধুদের সাথে রাজপথে আন্দোলনে যোগ দেন বায়েজিদ বোস্তামি। সেখানেই পুলিশের গুলিতে শহীদ হন তিনি। পুলিশ তাকে খুন করেই ক্ষান্ত হয়নি। আগুন দিয়ে পুড়িয়েও দেয় তার লাশ। পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়-স্বজনদের বায়েজিদ বোস্তামির লাশ একনজর দেখারও ভাগ্য হয়নি।
শহীদ বায়েজিদ বোস্তামির বয়স ছিল মাত্র ২৩ বছর। তার বাড়ি নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার উমার ইউনিয়নের কৈগ্রাম ফার্সিপাড়া গ্রামে। তিনি মৃত সাখাওয়াত হোসেনের মেঝ ছেলে। বায়েজিদ বোস্তামির বড় ভাই এর নাম কামরুল ইসলাম (২৫) ও ছোট বোনের নাম উম্মে সালমা রুমী (১৭) আর শহীদ বায়েজিদ বোস্তামির স্ত্রীর নাম রিনা আক্তার (২০)।
শহীদ বায়েজিদ বোস্তামির বড় ভাই কারিমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গরীব ও অসহায় পরিবারে আমাদের জন্ম। আমরা দুই ভাই এক বোন অনেক কষ্টে বড় হয়েছি। বায়েজিদ ছিল আমাদের আদরের ছোট ভাই। সে পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকত। তবে সে তার সাধ্যমতো পরিবারকে টাকা পাঠাতো।
শহীদ বায়েজিদের স্ত্রী রিনা আক্তার বলেন, তারা বিয়ে করেছেন দুই বছর হলো। একই জায়গায় চাকরি করার সুবাদে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে আসে রাফি আব্দুল্লাহ। বর্তমানে তার বয়স ১৩ মাস। ছোট্র শিশু রাফি আব্দুল্লাহ এখনও বুঝতে শিখেনি তার বাবা বেঁচে নেই।
তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় বন্ধুদের সাথে আন্দোলনে যোগ দেয় বায়েজিদ। ঘটনার দিন দুপুরে ‘ভারতীয়’ পুলিশ বায়েজিদসহ ১৩জনকে এক সাথে আশুলিয়া এলাকায় গুলি করে হত্যা করে। তারপরে সেখান থেকে তাদের ১৩জনকে একটি গাড়িতে করে নিয়ে রাস্তার পাশে আগুন লাগিয়ে লাশগুলো জ্বালিয়ে দেয় ‘ভারতীয়’ পুলিশ।
তথ্যসূত্র:
১. ছয় মাসের ছেলে রেখে আন্দোলনে যাওয়া বায়েজিদের লাশও পুড়িয়ে দেয় পুলিশ
– https://tinyurl.com/y69d2a6d