
উত্তর গাজার একমাত্র কার্যকর হাসপাতাল আল-আওদাকে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এর ফলে চিকিৎসাধীন রোগী এবং হাসপাতালে আশ্রয় নেওয়া বহু বাস্তুচ্যুত মানুষের নিরাপত্তা ও চিকিৎসা হুমকির মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আল-আওদা ছিল উত্তর গাজার শেষ হাসপাতাল যেটি তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলো। এর বন্ধ হওয়া চিকিৎসাব্যবস্থার ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের ধারাবাহিকতা। যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলে অভিযোগ করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, হাসপাতালটিতে রোগী স্বাস্থ্যকর্মী, আশ্রিতসহ আল-অওদায় বর্তমানে শতাধিক মানুষ অবস্থান করছে। ইসরায়েলি ঘোষণায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের সবার জীবনই। দখলদার ইসরায়েলের লাগাতার বোমা হামলায় পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে উপত্যকার বেশির ভাগ রাস্তাঘাট। যেকারণে হাসপাতালের সরঞ্জাম অন্য কোথাও স্থানান্তর সম্ভব হচ্ছে না। সব মিলিয়ে রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিতে বেশ হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
WHO আরও জানিয়েছে, ‘আল-আওদা হাসপাতালের বন্ধ হওয়া মানে উত্তর গাজার মানুষদের জন্য শেষ জীবনরেখাটিও বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া।’ তারা হাসপাতাল, কর্মী এবং রোগীদের সুরক্ষার দাবি জানিয়েছে।
আল-আওদা হাসপাতাল বন্ধ হওয়ার ঘটনা এমন সময়ে ঘটলো, যখন গাজায় মানবিক সংকট দিনে দিনে আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। সন্ত্রাসী ইসরায়েল গাজার ওপর কঠোর অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করে তুলেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষে জানিয়েছে, গাজায় চলমান অবরোধ ও বিমান হামলায় ইতোমধ্যে ১,৪০০-র বেশি চিকিৎসাকর্মী, রোগী ও আশ্রয়প্রার্থী শহীদ হয়েছে। মানবিক সহায়তা ও চিকিৎসা নিরাপত্তার দাবিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের আরও দৃঢ় পদক্ষেপের দাবি জানানো হচ্ছে।
তথ্যসূত্র:
1. Israel orders closure of al-Awda Hospital, a ‘lifeline’ in north Gaza
– https://tinyurl.com/3fbnbkfs
2. New humanitarian crisis fears as Israel expels thousands in northern Gaza, closes Al-Awda hospital
– https://tinyurl.com/2akhw2y9