
সোমালিয়ায় হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন পশ্চিমা ও আফ্রিকান জোটের বৃহৎ পরিসরের একটি যৌথ আক্রমণ সফলভাবে প্রতিহত করেছেন।
সম্প্রতি সোমালিয়ার মধ্য শাবেলিতে হারাকাতুশ শাবাবের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলো দখলের উদ্দেশ্যে একটি সিরিজ অপারেশন শুরু করেছিল শত্রুর সম্মিলিত জোট বাহিনী। এই সিরিজ অপারেশনে অংশ নেয় আফ্রিকান ইউনিয়ন জোট বাহিনী (AUSSOM), পশ্চিমা সমর্থিত মোগাদিশু বাহিনী (SNA), তুর্কি বিমান বাহিনী (T129 ATAK) মার্কিন বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারগুলো এবং তাদের প্রশিক্ষিত স্পেশাল দানব ফোর্স।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিনরা শত্রু বাহিনীর সম্মিলিত এই আক্রমণ খুবই সফলতার সাথে প্রতিহত করেছেন। শত্রু বাহিনী এই সিরিজ আক্রমণের মাধ্যমে চেষ্টা করেছিল মধ্য শাবেলিতে শাবাব মুজাহিদিনের নিয়ন্ত্রিত জাবিদ শহরের আশেপাশের এলাকা এবং আফগুয়ে জেলার উপকণ্ঠে অবস্থিত বারির শহর সহ অন্যান্য এলাকাগুলো পুনর্দখল নেওয়ার।
কিন্তু শত্রু জোট বাহিনী তাদের এই লক্ষ্য অর্জনে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়। কেননা হারাকাতুশ শাবাব যোদ্ধারা শত্রু বাহিনীর সামনে অত্যন্ত মারাত্মক ও তীব্র প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তুলেন। মুজাহিদিনরা শত্রু বাহিনীকে নিশ্চিহ্নকারী মারাত্মক সব আক্রমণের পাশাপাশি এই যুদ্ধে শত্রুর সমস্ত সরবরাহ রোডগুলো ধ্বংস করে ফেলেন। একই সাথে এই অঞ্চলগুলির বেশ কয়েকটি সংযোগকারী সেতুও মুজাহিদিনরা ধ্বংস করেন। ফলশ্রুতিতে শত্রুর সমস্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং পালানোর পথগুলোও অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এই অঞ্চলে শত্রু জোট বাহিনীর চলাচল ও সরবরাহ আসা কঠিন হয়ে পড়লে শত্রু বাহিনীতে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
এমন পরিস্থিতিতে শত্রু জোট বাহিনী জাবিদ এবং বারির শহর সহ আশপাশের এলাকাগুলো থেকে আফগোয়ে শহরের দিকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করার চেষ্টা শুরু করে। তখন মুজাহিদিনরা শত্রু বাহিনীকে তাদের পাতানো ফাঁদে আঁটকে ফেলেন এবং সম্মিলিতভাবে শত্রু জোটের উপর বিভিন্ন দিক থেকে মুজাহিদিনরা ভারী পাল্টা আক্রমণ চালাতে শুরু করেন। এসময় পিছু হটতে চাওয়া শত্রু জোট বাহিনীর অসংখ্য সৈন্য নিহত এবং আহত হয়, বাকিরা বনজঙ্গল ও নদী সাঁতরিয়ে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যায়।
এই অঞ্চলে সর্বশেষ মারাত্মক আক্রমণটি ঘটে গত ১৬ জুন (সোমবার), যা আফগুয়ে জেলার উপকন্ঠে মোগাদিশু বাহিনী ও আফ্রিকান ক্রুসেডার জোটের যৌথ একটি সামরিক কনভয়ের বিরুদ্ধে চালানো হয়। ফলশ্রুতিতে ২১ ক্রুসেডার ও ৬ এরও বেশি মোগাদিশু সৈন্য হতাহত হয়। সেই সাথে শত্রু বাহিনীর ৫টিরও বেশি বিভিন্ন সাঁজোয়া যান ও ট্যাংক ধ্বংস হয়ে যায়।