
গাজার মধ্যাঞ্চলের নেৎজারিম করিডোরে মানবিক ত্রাণ নেওয়ার জন্য অপেক্ষারত ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৩৫ জন শহীদ হয়েছে। ২০ জুন, শুক্রবার আল-আওদা হাসপাতাল সূত্রে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
শুক্রবার একইদিনে দেইর আল বালাহ শহরের পশ্চিমাঞ্চলে একটি বাড়িতে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। এতে আরও অন্তত ৮ জন শহীদ ও অনেকে আহত হন। গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল জানিয়েছে, শুধু শুক্রবারই বর্বর ইসরায়েলি হামলায় মোট ৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন।
দখলদার ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বিতর্কিত সংগঠন গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণের দায়িত্বে থাকলেও তারা নিরাপদ সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, গাজায় এখন মানবসৃষ্ট খরা দেখা দিয়েছে। পানির অভাবে শিশুদের মৃত্যু শুরুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইউনিসেফ মুখপাত্র জেমস এল্ডার বলেছে, গাজার পানি সরবরাহ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। এখন মাত্র ৪০ শতাংশ বিশুদ্ধ পানি উৎপাদন কেন্দ্র সচল রয়েছে। শিশুরা খুব শিগগিরই তৃষ্ণায় মারা যেতে শুরু করবে।
সে আরও জানায়, গাজা সফরে থাকা অবস্থায় সে দেখেছে যে, খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে নারী ও শিশুরা কীভাবে আহত হচ্ছেন। এক কিশোর ট্যাংকের গোলায় আহত হয়ে পরে মারা গেছে বলেও জানায় সে।
সহায়তা কেন্দ্র কখন খোলা বা বন্ধ, সে বিষয়ে সঠিক তথ্যের ঘাটতি থেকেই বহু প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। কখনও বলা হচ্ছে সহায়তা কেন্দ্র খোলা, পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলা হচ্ছে বন্ধ। কিন্তু তখন গাজার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। ফলে মানুষ তথ্য জানতে পারে না।
গাজার সরকারি সংবাদমাধ্যম কার্যালয়ের মহাপরিচালক ইসমাইল আল-থাওবাতা বৃহস্পতিবার জানান, এখন পর্যন্ত মানবিক সহায়তার আশায় আসা ৪০৯ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৩ হাজার ২০৩ জন।
তথ্যসূত্র:
1. At least 35 killed in new Israeli attack on Gaza aid seekers
– https://tinyurl.com/34sn46uw