
ভোলার তজুমদ্দিনে চাঁদার টাকা না দেওয়ায় স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক শ্রমিকদল নেতার বিরুদ্ধে। শনিবার (২৮ জুন) রাতে উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত শ্রমিকদল নেতার নাম ফরিদউদ্দিন। সে উপজেলা শ্রমিকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
জানা যায়, শনিবার রাতে ভুক্তভোগীর স্বামীকে বাসায় ডেকে নেয় শ্রমিকদল নেতা ফরিদউদ্দিন। এসময় আগে ফরিদউদ্দিন ও তার সহযোগী আলাউদ্দিন ভুক্তভোগীর স্বামীকে আটকে নির্যাতন করে চাঁদা দাবি করে। একপর্যায়ে টাকা নিয়ে এসে স্বামীকে ছাড়িয়ে নিতে স্ত্রীকে বলা হয়।
পরে রবিবার সকালে ভুক্তভোগী ঘটনাস্থলে স্বামীকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা দিতে অসম্মতি জানালে ফের ভুক্তভোগীর স্বামীকে পিটিয়ে জখম করে ফরিদউদ্দিন।
ভুক্তভোগী নারী গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ভাই’ বলে কেঁদে কেঁদে আত্মরক্ষা চাইলেও থামেনি ধর্ষকেরা, পায়ে ধরে কান্নাকাটি করলেও ধর্ষকদের হাত থেকে রক্ষা হয়নি।
ধর্ষণ শেষে স্বামী-স্ত্রী দুজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনা কাউকে না বলার শর্তে সেখান থেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় অভিযুক্তরা। পরবর্তীতে রবিবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের স্বীকার হওয়া নারী দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে ভুক্তভোগী ওই নারী ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুরো ঘটনার বিবরণ জানালে রাতে পুলিশ এসে তাদেরকে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয়দের দাবি, অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তথ্যসূত্র:
১. শ্রমিকদল নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
– https://tinyurl.com/2wt2vt37