বিচার বিভাগ ইসলামী ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ন স্তম্ভ: আমীরুল মু’মিনীন

0
101

আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশে ইমারতে ইসলামিয়ার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সংস্কার ও প্রশিক্ষণ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন আমীরুল মু’মিনীন মৌলভী হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদা হাফিযাহুল্লাহ। সেমিনারে তিনি পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ’র আলোকে ইসলামী রাষ্ট্রে বিচার বিভাগের তাৎপর্য ও ভূমিকা তুলে ধরেছেন।

বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে তিনি বলেন, ইসলামী ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হল বিচার বিভাগ। আদালতের মাধ্যমে জনগণের জান-মাল ও সম্মানের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। এছাড়া রাষ্ট্রদ্রোহ ও দুর্নীতি নির্মূল এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে ভূমিকা পালন করে এই আদালত। অপরদিকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামী কাঠামো এবং বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়ে উঠে। এমনকি সমগ্র ইসলামী ব্যবস্থা যেন আদালতের ন্যায় কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই বিচারকার্য করতেন, শরিয়তের হুকুমসমূহ ব্যাখ্যা করতেন, শরিয়তের সীমারেখার মধ্যে রায় কার্যকর করতেন। ন্যায়বিচারের উদ্দেশ্যে এক ঘণ্টা সময় ব্যয় করা, মহান আল্লাহর নিকট এক বছর ইবাদতের সমতুল্য।

ইসলামী আদালত প্রসঙ্গে আমীরুল মু’মীনিন বলেন, জিহাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে বড় ভূমিকা পালন করতে সক্ষম ইসলামী আদালত, এটি ইসলামী ব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করে, ইসলামী বিশ্বাসের প্রসার ঘটায়, ইসলামী শরিয়াহ’র বাস্তবায়ন নিশ্চিত করে, ইসলামী নৈতিকতাকে সকলের নিকট জনপ্রিয় করে তোলে।

তিনি বিচারকদের উদ্দেশ্যে বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষের নৈতিক ও ব্যবহারিক জীবনে সংশোধন আনয়নের জন্য বিচারকদের দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। একজন ন্যায়বিচারক আল্লাহ তায়ালার অত্যন্ত প্রিয় বান্দা। বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক বেশি ধৈর্য, অধ্যবসায় ও সহনশীলতা প্রয়োজন। আলেম-ওলামা ও বিচারকদের অবশ্যই দ্বীন ইসলাম ও শরিয়তের প্রয়োগের মাধ্যমে সারাবিশ্বের সামনে নজির স্থাপন করতে হবে।

বিচারকদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিচারকদের বিভিন্ন ফায়সালা ও অভিজ্ঞতাসমূহ বই রচনার মাধ্যমে সংরক্ষণ করা উচিত, যেন পরবর্তী প্রজন্মের বিচারকগণ তা থেকে উপকৃত হতে পারেন। তিনি কারাবন্দীদের অবস্থার প্রতি তাদের বিশেষভাবে মনোযোগী হতে পরামর্শ দেন। অবশ্যম্ভাবী নিয়তি ছাড়া কোনও বন্দীকে কারাগারে রাখতে নিষেধ করেন।

এছাড়া তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাদী ও বিবাদীর মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে কোনও পক্ষপাতিত্ব করা যাবে না। ন্যায়বিচার প্রদানের ক্ষেত্রে আল্লাহর সন্তুষ্টি বিচারকদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হওয়া উচিত।

পরিশেষে তিনি ইসলামী ব্যবস্থা ও জনসাধারণের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে নিরাপত্তা ও হেদায়েত কামনার মাধ্যমে বক্তব্য সমাপ্ত করেন।


তথ্যসূত্র:
1. His Highness Amir al-Mu’minin, attended and delivered a speech at a training seminar for judicial officials
– https://tinyurl.com/5enj9zxu
2. Esteemed Amir-ul-Momineen Addresses Judicial Officials Training Seminar
– https://tinyurl.com/yc6b4cdf

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধপূর্ব হিরান রাজ্যে আশ-শাবাবের অগ্রগতি অব্যাহত: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২টি এলাকা বিজয়
পরবর্তী নিবন্ধভিডিও || ইমারতে ইসলামিয়ায় ভিক্ষাবৃত্তি ও শ্রমের সাথে জড়িত শতাধিক পথশিশুকে স্কুলে ভর্তির উদ্যোগ