
আফগানিস্তানে ইমারতে ইসলামিয়া প্রতিষ্ঠার পর দেশটি শরিয়াহ আইনের ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে। ইসলামি আদর্শে গঠিত এই শাসনব্যবস্থায় জনগণ যেন দ্রুত, স্বচ্ছ ও ন্যায়সঙ্গত বিচার পায়, সেদিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বিচারপ্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অপ্রয়োজনীয় দীর্ঘসূত্রতার (অর্থাৎ বিচার পেতে অকারণ দেরি) বদলে এখন কার্যকরভাবে শরিয়াহভিত্তিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
গত ৫ জুলাই দেশটির তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায়, ‘আমর বিল মা’রুফ ও নাহি আনিল মুনকার’ মন্ত্রণালয় এক সপ্তাহে নারীদের শরিয়তসম্মত অধিকার সংক্রান্ত ২৭টি মামলার নিষ্পত্তি করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মন্ত্রণালয়ের মোতাসিবিন বা ধর্মীয় তদারককারীরা যে মামলাগুলোর নিষ্পত্তি করেছেন, তার মধ্যে ছিল ১২টি নির্যাতনের অভিযোগ, ৭টি উত্তরাধিকার বঞ্চনার ঘটনা, ৪টি জোরপূর্বক বিয়ে এবং ৪টি মহর (দেনমোহর) না দেওয়ার অভিযোগ।
এছাড়া দেশের ১৩টি প্রদেশে ২৭টি পারিবারিক ও সামাজিক বিরোধ এবং ৪টি শত্রুতার ঘটনাও মীমাংসা করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো জাতীয় ঐক্য জোরদার, জাতিগত ও ভাষাগত বিভেদ নিরসন এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা।
নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগিতায় মন্ত্রণালয়ের তদারককারীরা বালখ, মায়দান ওয়ারদাক, গজনি ও বাদাখশান প্রদেশে চারজন ‘দক্ষ জাদুকর’কে গ্রেপ্তার করেছে, যাদের বিরুদ্ধে কুসংস্কার ছড়ানো ও মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ ছিল।
সামাজিক সচেতনতা ও সম্প্রীতি বৃদ্ধির অংশ হিসেবে মন্ত্রণালয় বিভিন্ন প্রদেশে ১১৮টি যৌথ সভার আয়োজন করেছে। এসব সভায় অংশ নেন আলেম-উলামা, জাতিগত নেতৃবৃন্দ, তরুণ সমাজ, মুজাহিদিন, সরকারি কর্মচারী ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে, বাজার ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে এবং ওজনে কম দেওয়া, নিম্নমানের পণ্য বিক্রি ও মজুদদারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন প্রদেশে ব্যবসায়ী ও দোকানদারদের সঙ্গে ৩৮টি ‘সংশোধনমূলক বৈঠক’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, জনগণের অভিযোগ গ্রহণে ‘আমর বিল মা’রুফ’ মন্ত্রণালয় একটি হটলাইন (১৯১) চালু রেখেছে, যার মাধ্যমে নাগরিকরা সরাসরি তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন।
তথ্যসূত্র:
1. در یک هفته، وزارت امر بالمعروف به ۲۷ قضیه حقوق زنان رسیدگی، ۳۱ منازعه و
– https://tinyurl.com/2uy44ysc