
অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা (ইসিও)’র দেশসমূহের প্রতিনিধিদের কাবুল সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ইমারতে ইসলামিয়ার অর্থনীতি বিষয়ক উপপ্রধানমন্ত্রী মোল্লা আব্দুল গণি বারাদার আখুন্দ হাফিযাহুল্লাহ। এই সময় তিনি ইসিও’র পরবর্তী ১৮তম আন্তর্জাতিক শীর্ষ সম্মেলন কাবুলে আয়োজন করার প্রস্তাব পেশ করেছেন।
সম্প্রতি আজারবাইজানে আয়োজিত ইসিও’র ১৭ তম শীর্ষ সম্মেলনে তিনি সদস্য রাষ্ট্রদের উদ্দেশ্যে এই আহ্বান পেশ করেছেন। কাবুলে পরবর্তী ইসিও শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশ আয়োজন এবং সকল অংশগ্রহণকারীদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছি।
সম্মেলনে ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের সাথে ইমারতে ইসলামিয়ার সংহতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন বারাদার হাফিযাহুল্লাহ। তিনি বলেন, গাজার নিরীহ জনগণের উপর যে নিপীড়ন চালানো হচ্ছে তা অবশ্যই অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আমরা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও আল-কুদসের ইসলামী পরিচয় সংরক্ষণে পূর্ণ সমর্থন করি।
এছাড়া তিনি সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে আফগানিস্তানের প্রকৃত রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুধাবনের আহ্বান জানান। ইমারতে ইসলামিয়াকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদানের ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত ও ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে তিনি পরামর্শ দেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি রাশিয়া’র প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, কর ব্যবস্থার বৃদ্ধি, দেশসমূহের মধ্যে অর্থনৈতিক সমন্বয়ের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করতে পারে অর্থনৈতিক সহযোগিতার সংস্থা (ইসিও), যা অতীত অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখতে পাই। এছাড়া উন্নয়নের সুযোগ তৈরি, সহযোগিতা বৃদ্ধি ও আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য ইমারতে ইসলামিয়ার প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছেন মোল্লা বারাদার হাফিযাহুল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে ইসিও’র সদস্য দেশগুলো অর্থনীতি কেবল তখনই সমৃদ্ধ হতে পারে যখন আফগানিস্তান এই সমীকরণের সক্রিয় অংশ হয়ে উঠবে।
উল্লেখ্য যে, ইসিও’র ১৭তম সাম্প্রতিক শীর্ষ সম্মেলনে ১০টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেছেন।
তথ্যসূত্র:
1. Mullah Baradar Akhund Invites ECO Members to Kabul for 18th Summit
– https://tinyurl.com/46dpbsnc