
ফেনীর পরশুরামে বাসপদুয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত ইয়াছিন লিটন ও জাকির হোসেন মিল্লাত নিজ গ্রামে চিরনিদ্রায় সমাহিত হয়েছেন। একের পর এক ভারতীয় বিএসএফের হত্যাকাণ্ডের শিকার এ গ্রামের মানুষ। বাসপদুয়া গ্রামের মানুষের মাঝে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ।
শনিবার(২৬ জুলাই) বিকাল ৪টায় পৌর এলাকার বাসপদুয়া গ্রামের সামাজিক কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতদের লাশ গ্রামে নিয়ে এলে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে জানাজার নামাজ আদায় করেন গ্রামবাসী। লিটনের জানাজার নামাজ পড়ান গুথুমা চৌমুড়ি দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মীর আহমদ। মিল্লাতের জানাজার নামাজ পড়েন তার বড় ভাই হাফেজ নুরুননবী পারভেজ। জানাজার নামাজে তিন শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, নিহত লিটন ও মিল্লাতের শরীরে দু’টি করে গুলি লেগেছে। লিটনের বাবা মনির আহমেদ জানান, লিটন টমটম চালাতেন ও টিউবওয়েলের কাজ করতেন। তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে তার। তাদের দেখবে এখন কে?
লিটন ও মিল্লাতের মৃত্যুতে সীমান্তবর্তী বাসপদুয়া গ্রামে নীরবতা বিরাজ করছে। ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর বাসপদুয়া সীমান্ত থেকে কৃষক মেজবাহারকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। তাকে গুলি করে হত্যার ১৭ দিন পর লাশ ফেরত দেয়। অজানা আতঙ্কে রয়েছে গ্রামের মানুষ। সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহতদের ভার সইতে পারছে না মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেনে, তারা এভাবে মানুষ খুন করবে! এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার কি হবে না?
নিহত মিল্লাত প্রবাসে যেতে পাসপোর্ট করেছেন। প্রবাসে যেতে পারেননি মিল্লাত। তার ভাই নুরননবী পারভেজ বলেন, ভাইকে হারিয়েছি। আমার ভাইয়ের নিথর দেহ দেখেছি। এভাবে আমার ভাইকে দেখতে হবে, কল্পনাতেও ভাবিনি। ভাই হারানোর এই কষ্ট–বেদনা কতটা ভারী, তা কীভাবে বুঝাবো বলুন?
তথ্যসূত্র:
১. একের পর এক গ্রামবাসীকে হত্যা করছে বিএসএফ, ক্ষুব্ধ বাসপদুয়াবাসী
– https://tinyurl.com/4s9fdkcv


