
কাশ্মীরে দখলদার ভারত সরকারের কঠোর দমন নীতির বাস্তবতা আবারও সামনে এসেছে। কাশ্মীরে ভারত কর্তৃক নিযুক্ত লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে, ২০১৯ সালে সংবিধানের ধারা ৩৭০ বাতিলের পর অঞ্চলটিতে ৮০০টিরও বেশি ভারতীয় আইন প্রয়োগ করা হয়েছে।
কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিস গত ২৭ জুলাই এক প্রতিবেদনে জানায়, শ্রীনগরে এক সরকারি অনুষ্ঠানে সিনহা বলেছে, এই আইনগুলোর মাধ্যমে কাশ্মীরে ন্যায়বিচার ও সমতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তার দাবি, ‘ভারতীয় আইনের ফলে সমাজের সব স্তরের মানুষ, বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, এখন সরকারের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার আওতায় আসছে।’
তবে সিনহার এই বক্তব্যকে ‘প্রচারমূলক’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন মানবাধিকারকর্মী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এসব আইন আসলে ভারতের বৃহত্তর রাজনৈতিক কৌশলের অংশ, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে কাশ্মীরকে জোরপূর্বক ভারতের সঙ্গে একীভূত করা এবং অঞ্চলটির স্বতন্ত্র রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক পরিচয় মুছে ফেলা।
বিশ্লেষকদের মতে, তথাকথিত ‘আইনি সংস্কার’-এর আড়ালে ভারত আসলে কাশ্মীরে জনসংখ্যাগত পরিবর্তন ঘটানোর পথ সুগম করছে এবং কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের ন্যায্য দাবিকে দমন করছে।
সিনহা তার বক্তব্যে সংবিধানপ্রণেতা বি.আর. আম্বেদকরের আদর্শ অনুসরণের কথা বলেছে এবং বিচারপ্রাপ্তির সাংবিধানিক অধিকার ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, এই বক্তব্য বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তারা বলেন, কাশ্মীরে এখনো সামরিক দমন, নজরদারি এবং কঠোর আইন বলবৎ রয়েছে, যা মানুষের মৌলিক অধিকারকে দমিয়ে রেখেছে।
তথ্যসূত্র:
1. 800 Indian laws imposed in Kashmir since Article 370 revocation, admits Sinha
– https://tinyurl.com/2exnrhj4


