
গুমের পর আয়নাঘরে বন্দি করে রাখা ভুক্তভোগীদের ১০৩০ জনকে একাই ক্রস ফায়ার করে হত্যা করেছে হাসিনার আমলের বাহিনীর এক সদস্য। বর্তমানে সে গ্রেফতার রয়েছে। শনিবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনে কেন্দ্রে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এক সভায় এই তথ্য প্রকাশ করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
শহীদদের স্মরণে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন চিফ প্রসিকিউটর।
শহীদ পরিবারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেনে, ‘যে অবিস্মরণীয় বিপ্লবের মাধ্যমে ৩৬শে জুলাই অর্থাৎ ৫ই আগস্ট ২০২৪ সালে বাংলাদেশ এক নতুন দিগন্তের সন্ধান পেয়েছে। সেই দিগন্তের রক্তাক্ত যে আলোকরেখা সেটি রচিত হয়েছিল আপনাদের সন্তানদের রক্তের মধ্য দিয়ে। এই বাংলাদেশ আজকে আমরা যে জায়গায় দেখছি সেই বাংলাদেশের এই জায়গা আমরা দেখতে পারতাম না। যদি ২০২৪ এর জুলাই বিপ্লব সফল না হতো। আমরা যারা এখানে দাঁড়িয়ে আজকে কথা বলছি যদি জুলাই বিপ্লব সফল না হতো তাহলে আমাদের স্থান হতো হয়তো আজিমপুর গোড়স্থানে কারো কারো আয়নাঘরে কারো কারো কাসিমপুর কিংবা কেরানীগঞ্জের কারাগারে।’
তিনি আরও বলেনে, ‘বাংলাদেশের ৫৬,০০০ বর্গ মাইলের মধ্যে যত সম্পদ আছে, বঙ্গোপসাগরের তলদেশ যে সম্পদ আছে, মাটির গর্ভে যে খনিজ সম্পদ আছে, সমস্ত সম্পদ যদি আপনাকে দিয়ে দেয়া হয় আপনারা যা হারিয়েছেন তার ক্ষতিপূরণ হবে না।’
বক্তব্যে চিফ প্রসিকিউটর দীর্ঘ পনের বছরের জুলুম, গুম খুনের বিষয়ে স্মৃতিচারণ করেন। তিনি আসামীর স্বীকারোক্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশে অপরাধী শুধু জুলাই গণহত্যা না, এর বাইরে অনেক বিচার পাওনা হয়ে আছে। সেই বিচারের একটা গল্প বলি, একজন আসামী আছে যার ব্যাপারে আমরা তদন্ত পেয়েছি যে নিজের হাতে মাথায় গুলি করে ১০৩০ জন মানুষকে সে হত্যা করেছে। যাদেরকে আয়নাঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। তার একটা নেশা ছিল বন্দিদেরকে যখন চোখ হাত বেঁধে বুড়িগঙ্গা নদীতে নিয়ে যায় নৌকার মধ্যে গুলি করত। যখন গুলি করে লাশটা নদীতে ফেলত সেই সময় গুলিটা সে হাত দিয়ে মাথার কাছে নিয়ে করত। আমি জিজ্ঞাসা করলাম সেটা কেন? জবাব হচ্ছে যে, সে গুলি করার পরে নিহত ব্যক্তির মগজ এবং রক্ত ছিটে এসে যখন তার হাতে লাগতো, গরম লাগতো, তখন তার মধ্যে ফিলিংস আসতো।’
তথ্যসূত্র:
১. https://tinyurl.com/539jpz5t
২. https://tinyurl.com/u596puka


