
বৈশ্বিক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদার পশ্চিম আফ্রিকা শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম)। সম্প্রতি দলটির অফিসিয়াল আয-যাল্লাকা মিডিয়া থেকে গত ১৪৪৬ হিজরি সনে তাদের সামরিক কার্যক্রমের একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মুজাহিদিনরা পশ্চিম আফ্রিকার পাঁচটি দেশে বিভিন্ন ধরণের কমপক্ষে ৬৯৯টি হামলা চালিয়েছেন।
বিবরণ অনুযায়ী, ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিনরা পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি, বুরকিনা ফাসো, নাইজার, বেনিন ও টোগোতে গত হিজরি সনে অন্তত ৬৯৯টি সামরিক অপারেশন পরিচালনা করেছেন। এসকল অভিযানের মধ্যে রয়েছে ৩২২টি সম্মুখ যুদ্ধ, ২৫৭টি আইইডি বিস্ফোরণ, ৮০টি অ্যাম্বুশ, ২৮বার মর্টার হামলা, ৯টি ড্রোন হামলা এবং ৩টি ইনগিমাসী অপারেশন।
মুজাহিদদের বীরত্বপূর্ণ এসকল অভিযানে পশ্চিম আফ্রিকার জান্তা সরকারগুলোর সাথে যুক্ত অন্তত ৪ হাজার ২ শত ৫৯ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অসংখ্য শত্রু সৈন্য, হতাহতদের এই তালিকায় বহু সংখ্যক রাশিয়ান সৈন্যও রয়েছে, যারা ওয়াগনার থেকে পরিবর্তিত হয়ে আফ্রিকান কর্পস নামে পশ্চিম আফ্রিকায় সামরিক আগ্রাসন চালাচ্ছে।
শত্রু বাহিনীতে বিপুল সংখ্যক হতাহতের এই ঘটনা ছাড়াও মুজাহিদদের হাতে আরও ৩৯ শত্রু সৈন্য বন্দী হয়েছে। আর গনিমত হিসাবে মুজাহিদদের হস্তগত হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ৪৭৩৮টিরও বেশি অস্ত্র, অন্তত ১৭১টি সামরিক যানবাহন, ১৩৬১টি এরও বেশি মোটরসাইকেল এবং ২৮১টি আরপিজি সহ আরও অসংখ্য সামরিক সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ। শুধু চলতি বছরের মে মাসেই মুজাহিদিনরা শত্রু বাহিনী থেকে ৩ মিলিয়ন সমমূল্যের কেবল গোলাবারুদই জব্দ করেছেন। অপরদিকে মুজাহিদদের হামলায় শত্রু বাহিনীর ৬৫৮টিরও বেশি সামরিক যানবাহন এবং অগণিত সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ১৪৪৫ হিজরি সনের একই সময় ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিনরা এই অঞ্চলে মোট ৩৫৭টি অভিযান পরিচালনা করছেন। সেসময় মুজাহিদদের হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ২৪৪২ শত্রু সৈন্য। এই পরিসংখ্যান থেকে এটা স্পষ্ট যে, ‘জেএনআইএম’ আগের যেকোনো সময়ের চাইতে বর্তমানে পশ্চিম আফ্রিকায় আরও বেশি শক্তিশালী এবং সক্রিয়।


