
আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান ক্বারী ফসিহউদ্দিন ফিতরাত হাফিযাহুল্লাহ স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ইমারতে ইসলামিয়া বাগরাম বিমানঘাঁটি নিয়ে আমেরিকাসহ কোনো দেশের সঙ্গেই কোনো আলোচনায় বসবে না। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের মাটিতে বিদেশি সৈন্যের উপস্থিতি অগ্রহণযোগ্য এবং এই ঘাঁটি পুরোপুরি ইমারতে ইসলামিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
গত ১৪ আগস্ট স্থানীয় এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
আফগান সেনাপ্রধান বলেন, ‘আজ আমরা বাগরামে সামরিক কুচকাওয়াজ করছি, যে ঘাঁটি নিয়ে তাদের উচ্চ প্রত্যাশা ছিল, এবং আমাদের ডিভিশন সেখানে অবস্থান করছে, যা সম্পূর্ণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে। এখন কেউ কেউ ঈর্ষান্বিত হয়ে গুজব ছড়াচ্ছে যে ইমারতে ইসলামিয়া এই ঘাঁটি নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি। আমরা আফগানিস্তানের মুসলিম জাতিকে আশ্বস্ত করছি যে, এ বিষয়ে আমেরিকা বা অন্য কোনো দেশের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে আমরা যাবো না।’
তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তানে এমন কোনো ধ্বংসাত্মক বা হুমকিমূলক গোষ্ঠী নেই, যারা অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনা করছে, এবং আফগান মাটি কোনো জাতির জন্য হুমকি নয়। তিনি আরও বলেন যে, যারা ইমারতে ইসলামিয়ার বিরোধী তারাই এই ধরনের নেতিবাচক প্রচারণা চালায়।
সেনাবাহিনীর কাঠামো নিয়ে তিনি জানান, বর্তমানে সেনা সদস্যের সংখ্যা ১,৫০,০০০ হাজার থেকে ২,০০,০০০ লাখের মধ্যে এবং প্রয়োজনে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে। এছাড়া তিনি জানান, শিগগিরই সেনাদের মধ্যে নতুন ইউনিফর্ম বিতরণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর প্রতিবেশী দেশগুলোতে স্থানান্তরিত আফগান সামরিক বিমানগুলো ফেরত আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বাগরাম ঘাঁটি নিয়ে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘এটি আফগান জনগণের জাতীয় সম্পদ, ইমারতে ইসলামিয়া কখনোই এটি ত্যাগ করবে না।’ তার মতে, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কিছু দাবি উত্থাপন করেছে, কিন্তু ইমারতে ইসলামিয়া সেগুলো গ্রহণ করছে না।
তথ্যসূত্র:
1. Afghan army chief says no deals with any country over Bagram
– https://tinyurl.com/5n87vtdp


