আল-কায়েদা শাখা হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদদের জবাবি হামলার ফলে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করেছে ক্রুসেডার মার্কিন ও সোমালীয় মুরতাদ বাহিনী। তবে ততোক্ষণে মুজাহিদদের হাতে কুফ্ফার বাহিনীর ১টি ট্যাঙ্ক ও মেশিনগানযুক্ত ২টি সামরিকযান ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ৮ এরও অধিক সৈন্য হতাহত হয়েছে।
পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় আল-কায়েদা শাখা হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণাধীন “আউদাকলী” শহরে গত ১১ জুলাই অভিযান চালানোর ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছিল ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনী ও তাদেরই প্রশিক্ষিত সোমালীয় মুরতাদ বাহিনীর বিশেষ ফোর্সের সৈন্যরা। ক্রুসেডার ও মুরতাদ বাহিনীর এই হামলার সংবাদ পেয়েই আল-কায়েদা যোদ্ধারা “আউদাকলী” শহরে কঠিন প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলেন।
ক্রুসেডার ও মুরতাদ বাহিনী যখনই শহরের মোবারক নামক এলাকার কাছে এসে পৌঁছায়, তখনই মুজাহিদগণ মেশিনগান, ক্লাশিনকোভসহ অন্যান্য ভারী যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে কুফ্ফার বাহিনীর উপর তীব্র ও দুর্দান্ত গতিতে হামলা চালাতে শুরু করেন। মুজাহিদদের কঠিন এই প্রতিরোধ যুদ্ধের ফলে কুফ্ফার বাহিনীর হৃদপিণ্ড কেঁপে উঠে। অবশেষে মুজাহিদদের হামলার মোকাবেলা করতে না পেরে ক্রুসেডার ও মুরতাদ বাহিনী পিছুটান দিতে শুরু করে এবং লজ্জাজনক পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে ময়দান ছেড়ে একসময় পলায়ন করে। তবে ততোক্ষণে কুফ্ফার বাহিনীকে বেশ মূল্য দিতে হয়েছে। মুজাহিদদের হাতে হতাহত হয়েছে তাদের কয়েক ডজন সৈন্য, যদিও সরকারি সংবাদ চ্যানেলগুলো দাবি করছে উক্ত অভিযানে মুজাহিদদের হাতে তাদের ৮ সৈন্য হতাহত হয়েছে। পাশাপাশি ধ্বংস করা হয়েছে ক্রুসেডার ও মুরতাদ বাহিনীর ১টি ট্যাঙ্ক এবং মেশিনগানযুক্ত ২টি সামরিকযান।
মুজাহিদদের হামলায় হতাহত সৈন্যদের দ্রুত ময়দান থেকে সরিয়ে নিতে একটি হেলিকপ্টার বার বার এসেছিল বলেও জানা গেছে।
